Press "Enter" to skip to content

কে এই আহলে হাদিস/সালাফি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা নাসিরুদ্দিন আলবানি?

নাম: নাসিরউদ্দিন। তার ঠকবাজি ভন্ডামি ফাঁকিবাজি নিয়ে আরবে একসময় ’মোল্লা নাসির উদ্দিন’ নামে রম্য নাটক তৈরী করা হত বাংলাদেশেও ডাবিং করে দেখানো হত একসময়। তার জন্ম মূলত ইউরোপের আলবেনিয়ায়। সে অনুযায়ী তার নামের সাথে আলবানি টাইটেল যুক্ত করা হয়। সে আলবেনিয়া ত্যাগ করে সিরিয়ায় আশ্রয় নেয়া এক দরিদ্র রিফিউজি পরিবারের সন্তান। পরিবারের দিনাতিপাত করার জন্য সে প্রথম অবস্থায় কাঠ মিস্ত্রি ও পড়ে ঘড়ি মেরামতের কাজ করত। কিন্তু সে কিভাবে মোসাদ বা সিআইয়ের সাথে জড়িত হয় তা জানা যায় না। কিন্তু সাধারন কাঠমিস্ত্রি ও ঘড়ি মেকানিক থেকে ধীরে ধীরে তার স্বঘোষিত ইসলামি ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠা, ভক্ত সাগরিদ সংগ্রহ করা এবং শেষে ইসলামের বিরুদ্ধাচারনের মাধ্যমে তার গুপ্তচরবৃত্তি প্রকাশ পায়।

ধর্মীয় উস্কানি ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য সিরিয়ার আলেম সমাজের তুপের মুখে তাকে ২ বার গ্রেফতার করা হয়। প্রথম তাকে সিরিয়া সরকার গ্রেফতার করে ১৯৬০ সনে ও পরে ১৯৭০ সনে। দুইবারই কূটনৈতিক তৎপরতায় তাকে মুক্ত করে অদৃশ্য ইয়াহুদিবাদী শক্তি। পরিশেষে সরিয়া সরকার তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়। ১৯৬৫ সনে ভারতের আলোচিত আহলে হাদিস প্রতিষ্ঠান জামিয়া বেনারস মাদরাসায় তাকে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার প্রস্তাব দেয়া হয়। তখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মিরের দখল নিয়ে শিয়ালকোটের ভয়াবহ যুদ্ধ চলছিল। আলবানির যোগদান করা ছিল নিশ্চিত কিন্তু সে ফতুয়াবাজির মাধ্যমে ভারতীয় মুসলিমদের মাঝে পাকিস্তান বিদ্বেষী মনোভাব সৃষ্টির পায়তারা নিয়ে ভারত আসতেছে একারনে পাকিস্তানী গোয়েন্দা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাকে কিলিং টার্গেট করে রাখছে বলে তথ্য প্রকাশ হয়। ফলে সবকিছু চূড়ান্ত থাকার পরও অদৃশ্যশক্তির সিগনালে সে বেনারস মাদরাসায় যোগদান করা থেকে বিরত থাকে।

অপর দিকে নিষিদ্ধ হবার কারনে সিরিয়ায় থাকাও ছিল অসম্ভব। থাকলে আবার গ্রেফতার…. এমতাবস্তায় সে কোন উপায় না পেয়ে মানবিক আবেদনের মাধ্যমে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ জর্ডানে সফর করে…. কিন্তু সেখানে গিয়ে জর্ডান সরকার কয়েক দফা সতর্ক করার পরও ধর্মীয় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে থাকে এই ফিতনাবাজ……. সেখানেও মুসলিম জনতার রোশানলে পড়ে সে। জর্ডানে একই সাথে সে সমালোচিত ও ভক্তকুল সংগ্রহ করতে থাকে তার জন্য মুসলিম বিশ্ব থেকে জর্ডানের উপর ক্রমাগত চাপ আসতে থাকে। মুসলিম বিশ্বে শত প্রতিকূলতার মাঝেও চলতে থাকে তার ইহুদিবাদী মিশন। মুসলিম বিশ্বে বিচ্ছিন্নবাদীদের সমর্থনে সে ধীরে ধীরে তার মিশন এগিয়ে নিতে থাকে। তার মূল টার্গেট ছিল উঠতি কিশোর, ছাত্র-যুবক ও ধর্মানুরাগী নারী সমাজ। পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সে বিলাতি সাদা কুকুরদের গ্রীন সিগনালে মদিনাতেও প্রবেশ করে। মদিনায় প্রবেশের পর সে কি করেছিল জানার আগে। ইতিহাসের আগেরটা অংশ জেনে নিন……..

এগার শতকে কানা দাজ্জালের পুজারি ইয়াহুদিরা রাসুল(সা:) এর দেহ মোবারককে তার রওজা থেকে চুরি করে নিয়ে যেতে মুসলিম শায়েখ সুরতে মদিনায় প্রেরন করে নীলচক্ষু বিশিষ্ট ২ ইয়াহুদি স্পাইকে। ঘটনা অনেক লম্বা…… তারা রাসুল(সা:) এর দেহ মোবারককে তার রওজা থেকে বের করে নিয়ে যাবার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছিল। কিন্তু মুসলিম বীরযোদ্ধা বিশ্ববিখ্যাত আউলিয়া তৎকালীন তুর্কি সুলতান শাহ্ খাজা নুরুদ্দিন মাহমুদ জঙ্গি(রহ:) এর অত্যন্ত কৌশলী অভিযানে ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। ধরা পড়ে যায় নীলচোখের শায়েখ ছদ্মবেশধারী সে দুই ইয়াহুদি স্পাই…….

তুর্কি সুলতান খাজা নুরুদ্দিন জঙ্গি রাসুলের রওজার চারপাশে ইস্পাত ও সীসা দ্বারা কঠিন বেষ্টনি ও রাসুল(স:) এর প্রিয় জান্নাতি সবুজ রংয়ের সুউচ্চ গম্বুজ তৈরী করে দিলেন। যা বর্তমানেও কোন শক্তিশালী মিসাইল দিয়ে ভাঙা সম্ভব নয়। সুলতান শাহ নুরুদ্দিন জঙ্গি(রহ:) এর উদ্দেশ্য ছিল যেন ভবিশ্যতে ইয়াহুদিরা এমন কোন কুপরিকল্পনা আর করতে না পারে।

কিন্তু বিশাল পন্ডিত ইয়াহুদিরা শত শত বছর ধরে চকের পর চক আঁকতে থাকে…… গেল শতাব্দিতে এসে তারা রাসুলের রওজা নিয়ে তাদের প্লেনকে মোডিফাই করে ভিন্ন আরেক রুপ দিল। মাষ্টারপ্লেনিং অনুযায়ী তাদেরই গ্রীন সিগনালে উনবিংশ শতাব্দিতে তাদের কু্খ্যাত গুপ্তচর আলবানিকে সহিহ হাদিসের বিজ্ঞ শায়েখের সুরতে প্রেরণ করল মদিনায়…….

দু:খজনক হলেও সত্য সেই দুই নীল চক্ষুর মত প্রথম অবস্থায় এই নীল চক্ষুকেও চিনতে ভুল করল আমেরিকা-ব্রিটিশ আশির্বাদপুষ্ট সৌদ পরিবার শাসিত সৌদি আরব……. প্রথম অবস্থায় মিষ্টার আলবানির বিচক্ষনতা, চাতুরতা, কটুবুদ্ধি ও মেধার কারনে মদিনার অনেক বড় বড় আলেম ও শায়েখদের কাছে সে অনেক প্রসংশা ও গ্রহনযোগ্যতা পায়……. অবস্থাদৃষ্টে মদিনাতে সে তার মাটি উর্বর দেখে। সে ধাপে ধাপে তার অবিষ্ট লক্ষ্যে এগুতে থাকে।

প্রথম ধাপেঃ

সে হাদিস গবেষনার নামে ইসলামের সোলালী যুগ থেকে নিয়ে পরের সকল যুগের অকাট্ট সিদান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চালাতে থাকে তার বুদ্ধিনির্ভর উন্মাদ গবেষনা ও লাগামহীন কলম……

২য় ধাপেঃ

এবার ইসলামি সংস্কারের নামে শিরক, কুফর, বিদয়াত আখ্যা দিয়ে সে একের পর এক ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধানের উপর আপত্তি তুলতে থাকে।

তয় ধাপেঃ

সে বিশ্ববরেন্য জগতবিখ্যাত ইমাম ওলী-আউলিয়ার শানে জঘন্যতম বিয়াদপি শুরু করে দিল…..

৪র্থ ধাপেঃ

মদিনায় গ্রহনযোগ্যতা ও মোটামোটি শক্ত ঘাটি পাবার পর অবশেষে সে

তার আসল রুপ প্রকাশ করতে শুরু করল…… মদিনার মাটিতে দাড়িয়েই সে ইসলামের সংস্কারের নামে রাসুল(সা:)কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করা শুরু করল। এমনকি রাসুল(সা:) এর পবিত্র রওজা শরীফকে সে শিরক ও বিদয়াতের আখড়া বলে ফতুয়া দিল।

সে রাসুলের রওজার চারপাশের বেষ্টনিকে গুড়ো করে দিতে দাবি উঠাল। রাসুলের রওজার সবুজ গুম্বজকে মাটির সাথে গুড়িয়ে দিতে সে সরকারের নিকট আবেদন জানাল। সে তার আবেদন গ্রহন না করলে সরকারকে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী নয় বলে মন্তব্য করল

সে এখানেই ক্ষান্ত থাকল না, জনসাধারনের উদ্দেশ্যে সে প্রচার করতে লাগল রাসুলের সবুজ গম্বুজের অনুকরনে সবুজ পাগড়ী, সবুজ টুপি, সবুজ তাসবিহ, সবুজ জায়নামাজ, সবকিছু শিরক। এমনকি যে কিতাবের কভারে রাসুল(স:) এর সবুজ গুম্বজের ছবি ছিল সে কিতাবকেও সে সে ছুড়ে ফেলে দিতে বলেছিল। সে অনেক সবুজ তাসবিহকে ছিড়ে ফেলে দিয়েছিল , সবুজ টুপিকে ঢিল মেরে ফেলে দিয়েছিল, কারো মাথায় সবুজ পাগড়ী দেখলে সে শিরক বলত।

(আলবানি পুজারিদের প্রতি লক্ষ্য করলে আপনিও সেইম আচরন ও কথাবার্তা পাবেন। তারাও এ ধাপগুলো ফলো করে ধীরে ধীরে আগায়)

আলবানির দাবি এসব শিরকি বিদয়াতের জন্য দায়ী মুসলিম ইতিহাসের গৌবর উসমানিয়া খিলাফত (অটেম্যান সাম্রাজ্য)। তথা তুর্কি শাসক সুলতান শাহ্ নুরুদ্দিন মাহমুদ জঙ্গি(রহ:) কারন তিনিই রাসুলের রওজায় সবুজ গুম্বুজ তৈরী করেছিল। (সে যে ইয়াহুদিদের একটা পা চাটা কুকুর ছিল এখান থেকে তা সুস্পষ্ট)

তার সাথে সুর মিলিয়ে মদিনাতে তার কিছু চেলা যেন ইনিয়ে বিনিয়ে রাসুলের পবিত্র রওয়াজা ভাঙ্গার পক্ষে নিতে লাগল……. এবার সিরিয়া ও জর্ডানের মত মদিনায়ও শুরু হয়ে হল অস্থিরতা………

কিন্তু মদিনার এ অস্থিরতা শুধু মদিনায় সীমাবদ্ধ থাকল না। ছড়িয়ে পড়ল গোটা মুসলিম বিশ্বে……..রাসুলের পবিত্র রওজায় হাত দিলে সৌদি সরকারকেও ছেড়ে দেয়া হবে না বলে তুর্কি, ইরাক, ইরান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসতে থাকল হুমকি।

এরই মধ্যে এই উন্মাদ ইয়াহুদি স্পাই ফিলিস্তিনকে নিয়ে আরেক ফতুয়া দিল। সে বলল-

“ইসরাইলের জন্য ভূখন্ড ছেড়ে দিয়ে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উচিত অন্য কোথাও চলে যাওয়া। যেমন নবীজী মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে গিয়েছিল”।

এসব ইসলাম ও রাসুল বিদ্বেষী উন্মাদ আচরনের জন্য আলবানিকে গ্রেফতার করা ছিল প্রায় নিশ্চিত কিন্তু তাও করা যায়নি অদৃশ্য ইহুদি কূটনৈতিক বাধার কারনে।

অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে সৌদি সরকার শুধু মদিনা নয় গোটা সৌদি আরব থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বের হয়ে যেতে আলবানিকে রেড এলার্ড জারি করল। অন্যথায় তাকে এরেস্ট করার নির্দেশ দেয়া হল পুলিশকে। রাতে নোটিশ জারির পর অতি গোপনীয়তার সাথে সকালের সূর্য্য উঠার আগেই জরুরি ফ্লাইটে মদিনা থেকে পালিয়ে বের হয়ে যায় কানা দাজ্জালের মুরিদ নীল চক্ষুওয়ালা নাসির উদ্দিন আলবানি। এরপর শত চেষ্টা তদবীর করেও সে আর মদিনায় ঢুকতে পারেনি….

রাসুল পাক (স:) বলেন,

সাবধান, মদিনা হাপরের (কামারের) ন্যায় নিকৃষ্ট ব্যক্তিকে বের করে দেবে। হাপর যেভাবে লোহার ময়লা বের করে দেয়, তেমনি মদিনাও তার মন্দ ব্যক্তিদের বের না করা পর্যন্ত কিয়ামত হবে না।’–সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৪১৮

সুবহানাল্লাহ! আমরা মদিনাওয়ালা ও পবিত্র মদিনা নগরীকে ভালবাসি চিরকাল ভালবাসব ইনশা আল্লাহ। কোন ইবলিস তার মুখরোচক ফতুয়ায় আমাদের ইমান নড়াতে ‍পারবে না।

এই অপ্রিয় সত্য আড়াল করার জন্য আলবানির তার ভক্তরা আলবানিকে মদিনার শায়েখ বলে চালিয়ে দেয় আবার মুখে মুখে মক্কা-মদিনার খুব প্রশংসা করে। মানুষকে বুঝাতে চায় তারা মক্কা-মদিনার অনুসারী। বাস্তব হল সম্পূর্ণ উল্টো……

আসুন জেনে নেয় আহলে হাদিস গুরু নাসিরউদ্দিন আলবানীর ইসলামি সংস্কার ও মর্ডানালাইজেশনের কিছু নমুনা:

ইমাম বুখারী ( রহ.) এর শানে বিয়াদ্দবিঃ

মদিনা থেকে বিতাড়িত হয়ে আলবানী ইমাম বোখারী (রহঃ) কে মুশরিক(অমুসলিম) আখ্যায়িত করেছেন।

সূত্র: [ফাতাওয়াশ শায়েখ আলবানী, পৃষ্ঠা-৫২৩, মাকতাবাতুত তুরাছিল ইসলামী, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৪ইং

হানাফী মাযহাবকে খ্রিস্টধর্মের সাথে তুলনাঃ

মদিনা থেকে বিতাড়িত আহলে বিদয়াতি ধর্মের প্রবক্তা অভিশপ্ত আলবানি হানাফী মাযহাবকে খ্রিস্টধর্মের সাথে তুলনা করে লিখে,

‎هذا صريح في أن عيسى عليه السلام يحكم بشرعنا ويقضي بالكتاب والسنة لا بغيرهما من الانجيل أو الفقه الحنفي و نحوه

“এ থেকে স্পষ্ট যে, হযরত ঈসা (আঃ) আমাদের শরীয়ত অনুযায়ী ফয়সালা দিবেন এবং কিতাব ও সুন্নাহের মাধ্যমে বিচার করবেন। তিনি ইঞ্জিল, হানাফী ফিকহ কিংবা এজাতীয় অন্য কিছু দ্বারা বিচার করবেন না”

(সূত্র: সীরুদ্দিন আলবানী এর টিকা সংযোজন, তৃতীয় সংস্করণ, ১৯৭৭, আল-মাকতাবুল ইসলামি, পৃষ্ঠা-৫৪৮)

রাসুলে শানে তার লাগামহীন একের পর এক বিয়াদবি:

রাসুলের দুশমন আহলে খবিস ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা আলবানি লিখে,

“এটি আফসোসের বিষয় যে, দীর্ঘদিন হল রাসুলের কবরে গুম্বজ প্রস্তুত হয়েছে…..আমার বিশ্বাস সউদি সরকারের একত্ববাদের দাবি যদি সত্য হয়ে থাকে তবে তাদের উচিত রাসুলের রওজা চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেয়া”

(সূত্র: তাহজিরুল সাজিদ মিন ইত্তিখাযিল কুবুর মাসাজিদ, লেখক নাসিরুদ্দিন আলবানি, পৃষ্ঠা ৬৮-৬৯)

মদিনা থেকে বিতাড়িত এ গুপ্তচর আরো লিখে,

“আল্লাহর রাসূল মানুষকে যে সমস্ত আয়াত শিখিয়েছেন তা তিনি ভুলে যেতে পারেন”

(সূত্র: (আল ফাতাওয়াল কুয়্যেতিয়্যা লিল আলবানী,পৃ ৩০)

 

মদিনা থেকে বিতাড়িত আহলে খবিস ধর্মগুরু অভিশপ্ত আলবানির ফতুয়া,

“নবী করীম (সা:)কে ওসিলা করে দোয়া করা হারাম”

(সূত্র: আহকামুল যানায়েজ ওয়া বিদাউহা, পৃ -২৬৪)

মদিনা থেকে বিতাড়িত হয়ে এ উন্মাদ ইয়াহুদি প্রেতাত্মা বলে,

“রাসূল সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নন”

সূত্র: (আত তাওয়াসসুল আনওয়াউহু ওয়া আহকামুহু, পৃ-১৪৯)

মদিনা থেকে বিতাড়িত হবার জেদে অভিশপ্ত আলবানি ঘোষনা করে,

“রাসুল(সা:) এর রওয়াজা জিয়ারতের উদ্দশ্যে সফর করা হারাম”

(সূত্র: ফাতাওয়াল আলবানী ফিল মদীনাতি ওয়াল ইমারত, পৃ-১২)

মদিনা থেকে বিতাড়ত হয়ে ইহুদি গুপ্তচর আলবানির মিশন যখন ব্যর্থ তখন সে একের পর এক রাসুলের সম্মান ইজ্জতের উপর আক্রমন করতে থাকে। সে তার অন্ধ মুরিদের উদ্দেশ্যে বলে,

“নবীজী ও অন্য কোন মৃত্যুদের উদ্দশ্যে কোন আমলের সোয়াব প্রেরন করা জায়েজ নয়”

(সূত্র: আহাকমুল জানায়েয ওয়া বিদাউহা, শায়েখ আলবানী, পৃ-২৬০-২৬১)

এজন্য আপনি দেখবেন আহলে খবিসরা কখনো রাসুলের উদ্দেশ্যে ও মৃত মুমিন মুসলমানের উদ্দেশ্যে আমলের নেকি প্রেরন করে দোয়া করে না।

আহলে বিদয়াতি ধর্মগুরু অভিশপ্তআলবানি লিখে,

নবী-রাসূলগণ বিভিন্ন ধরনের গুনাহ ও আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে থাকেন।

(সূত্র: আল ফাতাওয়াল কুয়্যেতিয়্যা লিল আলবানী, পৃ ২৯)

মদিনা থেকে বিতাড়িত ও তার গোপন মিশনে ব্যর্থ হয়ে অভিশপ্ত আলবানি যেন পাগলা ককুর হয়ে উঠে। সে কুরআনের আয়াতকেও অস্বীকার করে বসে এবং রাসুলের শানে নাজিল করা কুরআনের আয়াতকে বিদয়াত বলে ঘোষনা দেয়। সে বলে,

“জুমার দিনে ‘ইন্নাল্লাহা ওয়ামালাইকাতাহু'(সুরা আহযাব) এই আয়াত পাঠ করা জায়েজ নয় এবং এটি একটি বেদাত”

(সূত্র: আল আজউইবাতুন নাফেয়া, শায়েক আলবানী, পৃ-৬৭)

ইসলামি বিধি-বিধান ও প্রিয়নবী মুহাম্মাদুর রাসুল(সা:)কে দারুকভাবে অবমাননা করে সে গড়ে তোলে কথিত আহলে হাদিস/সালাফি মতবাদ। এবং সে তার ভক্ত অনুরাগীদের শিক্ষা দেয়,

“আমাদের এ সালাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা হলেন স্বয়ং আল্লাহ তায়াল”

(সূত্রঃ ফাতাওয়াল আলবানী ফিল মদীনাতি ওয়াল ইমারত, পৃ-১৮)

এই আলবানির উম্মতেরাই বর্তমান কথিত আহলে হাদিস/কথিত সালাফি তথা সহিহ ইসলামের দাবিদার মর্ডান মুসলিম! তাদের কাছে ইসলামের পুরানো কোন কিছুই আর ভাল লাগে না……. পুরানো সব শিরক আর বিদয়াত আর আলবানি যা বলে তাই সহিহ!!

ইসলামকে সংস্কারের মহান!! কাজে লিপ্ত হয়েছে এরা! সহিহ হাদিসের চটকদারি স্লোগান, তওহীদ প্রতিষ্ঠার ভুয়া বুলি আর শিরিক বিদয়াতের বিরুদ্ধে মুখরোচক কথাবার্তা বলে ইন্টারনেটের উপর ভর করে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করছে প্রতিনিয়ত।