Press "Enter" to skip to content

মহীয়সী দাসী ফিজ্জা’র সংক্ষিপ্ত জীবন বিবরণি

এস, এ, এ

ফিজ্জা নৌবিইয়া হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)’র দাসী ছিলেন। রাসুল (সা.) তাকে এই নামে ডাকতেন। বলা হয় যে, ফিজ্জা আসলে নৌবিইয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। নৌবিইয়া হচ্ছে দক্ষিণ সুদানের একটি এলাকা অথবা মিশরের দক্ষিণ পূর্ব একটি এলাকা। অনেকে তাকে হিন্দ বাসী বলেও মনে করেন। আবার অনেকে তাকে হিন্দ বাদশাহর মেয়ে বলেও মনে করেন, যিনি হাবাশার লোকদের কাছে বন্দি হন। পরবর্তিতে হাবাশার বাদশা ফিজ্জাকে রাসুল (সা.)’র জন্য উপহার স্বরূপ প্রেরণ করেন এবং রাসুল (সা.) ফিজ্জাকে ফাতিমা (সা.আ.)’র কাছে দান করেন।

ফাতিমা (সা.আ.)র গৃহে ফিজ্জা:

ফিজ্জা ফাতিমা (সা.আ.)’র দাসী ছিলেন। ফিজ্জাকে রাসুল (সা.) হাদীয়া স্বরূপ ফাতিমা (সা.আ.)কে দান করেছিলেন এবং তার নামকরণ করেন ফিজ্জা। হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) গৃহের কাজগুলোকে ভাগ করে দিয়েছিলেন। একদিন তিনি কাজ করতেন এবং পরের দিন ফিজ্জা কাজ করতো।

ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (আ.) যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন আলী (আ.) ও ফাতিমা (সা.আ.) মান্নত করেন যে, হাসনাইন সুস্থ হয়ে গেলে তাঁরা রোজা রাখবেন। অতঃপর তাঁরা সুস্থ হয়ে গেলে ফিজ্জাও তাঁদের সাথে রোজা রাখেন। ফাতিমা যাহরা (সা.আ.)’র মৃত্যুর পরে আলী (আ.) পরিবারের সকলকে বলেন যে আস তোমরা তোমাদের মা কে শেষবারের মতো দেখে নাও। তখন তিনি ফিজ্জাকে ডাকেন এবং তাকেও ফাতিমা (সা.আ.)’র চেহারাকে দেখিয়ে দেন। হযরত ফাতিমা (সা.আ.)’র শাহাদতের পরে  ফিজ্জা প্রায় ২০ বছর তাঁর পরিবারের খেদমত করেন। ইমাম আলী (আ.) ফিজ্জাকে সৎ এবং তাকওয়াধারী মহীলা বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ফিজ্জার পরিবার:

আলী (আ.) বলেন: ফিজ্জা আবু সাআলাবা হাবাসীর স্ত্রী ছিলেন এবং এই স্বামী থেকে তার একটি পুত্র সন্তান ছিল। আবু সাআলাবার মৃত্যুর পরে ফিজ্জা আবু মালিক গ্বাতফানিকে বিবাহ করেন। উক্ত বিবাহের পরে আবু সাআলাবার পুত্রটি মারা যায়। পরবর্তিতে আবু মালিক থেকে ফিজ্জার একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। যার নাম ছিল শোহরাত বিনতে মুসকাত বিনতে ফিজ্জা।

ফিজ্জার কন্যার কেরামত:

মালিক বিন দিনার বলেন: এক বছর আমি হজ্বে যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে দেখলাম যে, একজন দূর্বল নারী রোগা গাধার উপরে বসে ছিল এবং গাধাটি আর পথ চলতে পারছিল না। আমি তাকে বলি যে, কেন সে এমন দূর্বল গাধায় আরোহণ করে সফর করছে। তখন নারীটি আকাশের দিকে মুখ তুলে বললো: আপনি আমাকে আমার ঘরে থাকতে দিলেন না নিজের ঘরে পৌছালেন। আপনার সত্তার শপথ আপনার পরিবর্তে কেউ যদি আমার সাথে এমন আচরণ করতো তাহলে আমি আপনার কাছে তার অভিযোগ করতাম। হঠাৎ ঐ পথে দিয়ে একজন ব্যাক্তি আসে যার হাতে একটি পশু ছিল সে উক্ত মহীলাকে তার গন্তব্য স্থান পর্যন্ত পৌছে দেয়। মালিক বিন দিনার বলেন: আমি উক্ত ঘটনা দেখে বুঝতে পারি যে, সে একজন পরহেজগার এবং পূণ্যবতী নারী যাকে আল্লাহ উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি: আপনি কে? সে বলে: আমি শোহরাত বিনতে মুসকাত বিনতে ফিজ্জা।

ফিজ্জার বৈশিষ্ট:

ফিজ্জা প্রায় ২০ বছর যাবত যখনই কথা বলতো তখন কোরআনের আয়াত দ্বারা কথা বলতো। তিনি রাসুল (সা.)’র ওফাতের পর থেকে নিয়ে হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) সম্পর্কিত দীর্ঘ রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন। হযরত আলী (আ.) ফিজ্জা সম্পর্কে বলেন: (اللهم بارک لنا فی فضّتنا)। আবার কেউ কেউ বলেন: ফিজ্জা রসায়ন বিজ্ঞান সম্পর্কে অবগত ছিল এবং সে উক্ত বিদ্যাটি হযরত ফাতিমা যাহরা (আ.) থেকে অর্জন করেছিলেন। রাসুল (সা.) ও তাকে কিছু যিকিরের শিক্ষা দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর তার জ্ঞানের প্রশংসা করেছেন।

বর্ণিত হয়েছে যে, কাবা শরীফের একজন জিয়ারতকারী তার কাফেলা থেকে দূরে পড়ে যায়। উক্ত ব্যাক্তিটি হঠাৎ একজন নারীকে দেখতে পাই এবং বুঝতে পারে যে, সেও পথ হারিয়ে ফেলেছে এবং বুঝতে পারছে না যে কোথায় যাবে। লোকটি তাঁকে জিজ্ঞাসা করে তুমি কে?

ফিজ্জা তার উত্তরে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে বুঝাতে চান যে, কেন সে সালাম ব্যাতিত কথাবার্তা শুরু করে।

ফিজ্জা বলেন: وَ قُلْ سَلامٌ فَسَوْفَ یَعْلَمُونَ

অর্থঃ এবং বলুন, ‘সালাম। তারা শীঘ্রই জানতে পারবে। (সূরা যুখরুফ, আয়াত নং ৮৯)

লোকটি বলে: সালামুন আলাইকে

লোকটি বলে: তুমি এ মরুভুমিতে কি করছ?

ফিজ্জা বলেন: وَ مَنْ یَهْدِ اللَّهُ فَمالَهُ مِنْ مُضِلٍ

অর্থঃ আর আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। (সূরা যুমার, আয়াত নং ৩৭)

লোকটি বলে: তুমি কি জ্বিন নাকি মানুষ?

ফিজ্জা বলেন: يا بنى‏آدم خذوا زينتكم

অর্থঃ হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও। (সূরা আরাফ, আয়াত নং ৩১)

লোকটি বলে: তুমি কোথায় থেকে আসছো?

ফিজ্জা বলেন: یُنادَوْنَ مِنْ مَكانٍ بَعیدٍ

অর্থঃ তাদেরকে যেন দূরবর্তী স্থান থেকে আহবান করা হয়। সূরা ফুসসিলাত, আয়াত নং ৪৪।

লোকটি বলে: তুমি কোথায় যাবে?

ফিজ্জা বলেন: وَلِلّهِ عَلَى النّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ

অর্থঃ আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ৯৭)

লোকটি বলে: তুমি কখন তোমার কাফেলা হারিয়ে ফেলেছ?

ফিজ্জা বলেন: وَ لَقَدْ خَلَقْنَا السَّماواتِ وَ الْاَرْضِ فِى سِتَّةِ اَیّامٍ

অর্থঃ আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি। (সূরা ক্বাফ, আয়াত নং ৩৮)

লোকটি বলে: তুমি কি খাবার খাবে?

ফিজ্জা বলেন: وَ ما جَعَلْناهُمْ جَسَداً لا یأْكُلُونَ الطَّعامَ

অর্থঃ আমি তাদেরকে এমন দেহ বিশিষ্ট করিনি যে, তারা খাদ্য ভক্ষণ করত না। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং ৮)

খাবার খাওয়ার পরে লোকটি ফিজ্জাকে বলে: একটু তাড়াতাড়ি পথ চলতে হবে।

ফিজ্জা বলেন: لايكلف اللَّه نفساً إلا وسعها

অর্থঃ আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না। (সূরা বাকারা, আয়াত নং ২৮৬)

লোকটি বলে: তাহলে তুমি আমার বাহনে আরোহন কর।

ফিজ্জা বলেন: لو كان فيهما آلهة الا اللَّه لفسدتا

অর্থঃ যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত নং ২২)

লোকটি তার বাহন থেকে নিচে নেমে আসে এবং ফিজ্জাকে আরোহন করায়।

ফিজ্জা বলেন: سبحان الذى سخّر لنا هذا

অর্থঃ যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। (সূরা যুখরুফ, আয়াত নং ১৩)

লোকটি বলে: আমি তাঁকে এভাবে তার কাফেলাতে পৌছে দেই। তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি কাফেলার কাউকে কি চিন?

ফিজ্জা বলেন: يَا دَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ

অর্থঃ হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি।(সূরা সোয়াদ, আয়াত নং ২৬)

وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ

আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! (আলে ইমরান, আয়াত নং ১৪৪)

يَا يَحْيَى خُذِ الْكِتَابَ

অর্থঃ হে ইয়াহইয়া দৃঢ়তার সাথে এই গ্রন্থ ধারণ কর। (সূরা মরিয়ম, আয়াত নং ১২)

فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِي يَا مُوسَى

অর্থঃ অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে পৌছলেন, তখন আওয়াজ আসল হে মূসা। (সূরা তাহা, আয়াত নং ১১)

এ আয়াত সমূহের তেলাওয়াত করে তার চার সন্তানদের নামকে বুঝিয়ে দেয়।

আমি উক্ত কাফেলাকে থামতে বললাম এবং উক্ত নামগুলিকে উদ্দেশ্যে করে ডাক দিলাম। তখন চারজন যুবক আমার কাছে আসে। আমি ফিজ্জাকে জিজ্ঞাসা করি এরা কারা?

ফিজ্জা বলে: الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا

অর্থঃ ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য। (সূরা কাহাফ, আয়াত নং ৪৬)

যে এরা হচ্ছে আমার সন্তান।

তার সন্তানরা তাদের মাকে পেয়ে অনেক খুশি হয়। তখন ফিজ্জা আবার কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে তাদেরকে আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের আদেশ দেয়।

ফিজ্জা বলে: إِنَّ أَبِي يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ

অর্থঃ আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যাতে আপনি যে আমাদেরকে পানি পান করিয়েছেন, তার বিনিময়ে পুরস্কার প্রদান করেন। (কেসাস, আয়াত নং ২৫)

আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি যে এ নারীর পরিচয় কি?

তার সন্তান জবাব দেয় তিনি হচ্ছে আমার মা ফিজ্জা এবং তিনি ছিলেন হজরত ফাতেমা (সা.আ.) এর দাসী। আর তিনি এভাবে প্রায় ২০ বছর ধরে তার মনের ভাবকে কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রতিপক্ষকে বুঝিয়ে দেন।

আলী (আ.) বলেন: ফিজ্জাকে রাসুল (সা.) কিছু দোয়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন যা সে সর্বদা পাঠ করতো। একদা ফাতিমা (সা.আ.) তাকে বলেন: হে ফিজ্জা! তুমি আটা খামির করবে নাকি রুটি বানাবে? ফিজ্জা বলে: আমি অঅটা খামির করব এবং কাঠও একত্রিত করব। এই বলে সে মরুভূমিতে যায় এবং সেখানে একটি বড় কাঠ সে খুজে পায়। কিন্তু কাঠটি এতই বড় ছিল যে, সে কাঠটি তুলতে অপারগ ছিল। তখন রাসুল (সা.)’র শিখানো দোয়াটি পাঠ করা শুরু করে।

يا واحدُ ليسَ كَمِثلِهِ أحدٌ، تَميتُ‏ كُلُّ‏ أحدٍ وَ تَفني‏ كُلُّ‏ أحدٍ، وَ أنتَ عَلَى عرشِكَ واحدٌ، وَ لا تَأخُذُهُ سنةٌ وَ لا نَومٌ

হঠাৎ মুরুভূমি থেকে একজন লোক তার কাছে আসে। মনে হচ্ছিল যেন সে তার ডাক শুনেই এসেছে। সেই ব্যাক্তি উক্ত কাঠটি নিজের ঘাড়ে নিয়ে ফাতিমা (সা.আ.)’র ঘরের দরজার কাছে রেখে চলে যায়।

ওফাত:

ফিজ্জার কবর সিরিয়ার দামেস্কে বাবুস সাগ্বীর নামক কবরস্থানে রয়েছে। ফিজ্জার কবরটি আব্দুল্লাহ বিন জাফর বিন আবি তালিবের কবরের কিছু দূরেই অবস্থিত। ফিজ্জার কবর ঘরটিতে সবুজ গুম্বুজ এবং চারিধারে কালো পাথর দিয়ে তৈরী করা হয়েছে।

 

তথ্যসূত্র:

১. আলামুন নিসাইল মুমিনাত, পৃষ্ঠা ৬৯৬, ৬৯৯-৭০০।

২. আল এসাবা, খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ২৮১।

৩. মাজমাউল বাহরাইন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৭৮।

৪.  রিয়াযুস সালিকিন, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২৪।

৫. বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৯, পৃষ্ঠা ৫৭৫, খন্ড ৪১, পৃষ্ঠা ২৭৩, খন্ড ৪৩, পৃষ্ঠা ৪৭, ১৭৯।

৬. মাশারেকে আনওয়ারুল ইয়াক্বিন, পৃষ্ঠা ১২১।

৭. তাফসীরে নুরুস সাকালাইন, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৫৭।

৮. মাওসুআতুল কোবরা, খন্ড ১৭, পৃষ্ঠা ৪২৮- ৪৩০।

৯. তাসলিয়াতুল মাজালিস, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫২৯।

১০. শারহুল আখবার, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩২৭, ৩২৮।

১১. মানাকেবে আলে আবি তালিব, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৮৩।

১২. রিয়াহিনুশ শারিয়া, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩১৩- ৩২৬।

১৩. আস সাকিব ফিল মানাকিব, পৃষ্ঠা ২৮১।

১৪. মোআসসেসেহ আশুরা, পৃষ্ঠা ২৩১।

১৫. ইসবাতুল হুদা, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৭।

১৬. কাফি, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪৬৫।

১৭. আল ইরশাদ, পৃষ্ঠা ১১৩।

১৮. আমাকেনে সিয়াহাতি ওয়া যিয়ারাতি দামেস্ক, পৃষ্ঠা ৪৭।

১৯. মানাকেবে ফাতিমি দার সেরে ফার্সী, পৃষ্ঠা ১০৪, ১১৬।

২০. উসদুল গ্বাবা, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৫৩০।

২১. আল আসাবা ফি তামিযিস সাহাবা, খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ২৮১।

২২. আসরারে শাহাদাত, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২২৮, ৬৩০।

২৩. আশুরা চে রুযি আস্ত, পৃষ্ঠা ২৯০।

২৪. উসুল মিনাল কাফি, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪৬৫।