Press "Enter" to skip to content

সহীহ সিত্তার আলোকে আহলে বাইত (আ.)

সংকলন: এস, এ, এ
১. আব্দুর রহমান ইবনে আবি লাইলা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, মহানবী (সা.) আলীকে বলেছেন: আমিই প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবো, [এরপর] হাসান (আ.), হোসাইন (আ.) ও ফাতিমা (আ.) জান্নাতে প্রবেশ করবে….। (সুনানে তিরমিযি)
২. বারাআ ইবনে আজিব বলেন: আলী (আ.), ফাতিমা (আ.), হাসান (আ.) ও হোসাইন (আ.) একদিন মহানবী (সা.)-এর দরজায় আসলেন। এরপর মহানবী (সা.) তাঁর চাদরসহ উঠে দাঁড়ালেন এবং তা দিয়ে তাদেরকে ঢেকে দিলেন; এরপর বললেন: হে আল্লাহ, এরাই আমার আহলে বাইত। (শাওয়াহিদুত তানযিল)
৩. রাসুল (সা.) বলেন: আল্লাহ যাকে আহলে বাইতের মা’রিফত [পরিচিতি] ও ভালবাসা দিয়ে অনুগ্রহ করেছেন, মহান আল্লাহ তার জন্য কল্যাণের সবটুকুই একত্র করেছেন। (বাশারাতুল মুস্তাফা)
৪. রাসুল (সা.) বলেন: তোমাদের মাঝে আমার আহলে বাইতের উদাহরণ হলো নূহের (আ.) নৌকার মতো- এতে যে আরোহন করলো সে রক্ষা পেলো, আর যে এ থেকে পেছনে পড়ে থাকলো সে আগুনে নিক্ষিপ্ত হলো। (উয়ুনে আখবার আর রিযা)
৫. রাসুল (সা.) বলেন: তোমাদের মাঝে আমার আহলে বাইতের উদাহরণ হলো ইসরাইলের সন্তানদের মাঝে ‘বাবে হিত্তাহ্’-[ক্ষমার দরজার] মতো। যে এটি দিয়ে প্রবেশ করবে সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে। (সাওয়ায়িক্ব আল মুহরিক্বাহ্)
৬. ইমাম আলী (আ.) বলেন: আমরাই হলাম ‘বাবে হিত্তাহ্’ আর তা হলো ‘বাবে সালাম’ [নিরাপত্তার দরজা] – যে এটি দিয়ে প্রবেশ করবে সে রক্ষা পাবে এবং যে এটি দিয়ে পাশ কাটাবে সে ধ্বংস হবে। (গুরারুল হিকাম)
৭. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: আমার আহলে বাইতের অবস্থানকে দেহের সাথে মাথা এবং মাথার সাথে দুটো চোখের মতো গণ্য কর; কারণ দেহ পথ পাবে না মাথা ছাড়া এবং মাথা পথপ্রাপ্ত হবে না দুটো চোখ ছাড়া। (কাশফুল গুম্মাহ)
৮. রাসুল (সা.) বলেন: যে-ই ইমামকে [জানা] ছাড়া মারা যায়, সে মারা যায় জাহিলিয়্যাতের [ইসলাম-পূর্ব অজ্ঞতার যুগে] মৃত্যুর মতো।
৯. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: হাউজে কাউসারে যারা প্রথম আমার সাথে যোগ দিবে তারা হলো আমার আহলে বাইত এবং আমার উম্মতের মধ্যে যারা আমাকে ভালবাসে। (কানযুল উম্মাল)
১০. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: জান্নাতের কেন্দ্র হবে আমার জন্য ও আমার আহলে বাইতের জন্য। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
১১. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: আমি নবীদের প্রধান এবং আলী ইবনে আবি তালিব হলো উত্তরসূরীদের [ওয়াসীদের] প্রধান। আমার পর আমার উত্তরসূরীদের সংখ্যা বারো- যাদের প্রথম জন আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) এবং তাদের শেষ জন ‘আল কায়েম’ (আ.)। (ফারাইদুস সিমতাইন)
১২. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: আমার পরে ইমাম হবে বারো জন, এদের মধ্যে নয় জন হবে হোসাইনের (আ.) বংশ [ওরশ] থেকে এবং তাদের নবম জন হলো ‘ক্বায়েম’ [ইমাম মাহদী (আ.)] সুসংবাদ তাদের জন্য যারা তাদেরকে ভালবাসবে এবং দূর্ভোগ তাদের যারা তাদের সাথে শত্রæতা করবে। (কিফায়াতুল আসার)
১৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: শুধু অপবিত্র [অবৈধ] জন্মের সন্তানরাই আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। (আল ফাক্বিহ্)
১৪. ইমাম আলী (আ.) বলেন: আমাদের সাথে শত্রæতা পোষণকারীদের জন্য আছে আল্লাহর প্রবল ক্রোধ। (তুহাফাতুল উকুল )
১৫. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: জেনে রাখো, যে ব্যাক্তি আলে মুহাম্মাদের (সা.) প্রতি শত্রুতা পোষণ করে, কিয়ামতের দিন তাকে এ অবস্থায় উঠানো হবে যে তার দুই চোখের মাঝখানে লেখা থাকবে: আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত। (মিয়াতে মানাক্বাবাহ্)
১৬. আবু সাঈদ খুদরী হতে বর্ণিত: নিশ্চয়ই আমরা মুনাফিক্বদের চিনতাম- আমরা [মদীনার] আনসার গোষ্ঠি তা চি‎হ্নিত করতাম আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)-এর প্রতি ঘৃণা থেকে। (সুনানে তিরমিযি)
১৭. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: যদি কারো মাঝে এ তিনটি জিনিস থাকে তাহলে সে আমার থেকে না, আর না আমি তার থেকে: আলী ইবনে আবি তালিবের প্রতি ঘৃণা পোষণ করা, আমার আহলে বাইতের প্রতি অসন্তুষ্টি এবং ঈমান শুধু মুখ দিয়ে বলা। (তারিখে দামিশক্ব)