এস, এ, এ
পরিচয়:
আবুল কাসিম হুসাইন বিন রূহ যিনি একজন আলিম যিনি ইমাম মাহদী (আ.)’র তৃতীয় নায়েব ছিলেন। তিনি নৌবাখত এলাকার শিয়া ছিলেন কিন্তু তিনি বাগদাদে বসবাস করতেন। হুসাইন বিন রূহ’র জন্ম তারিখ সম্পর্কিত কোনও সঠিক তথ্য উপলব্ধি হয়নি। তাঁর উপাধিসমূহ ছিল আবুল কাসিম, নৌবাখতি, রূহি এবং কুম্মী। তাঁর নাম থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, তিনি ইরানী বংশোদ্ভূত ছিলেন। নৌবাখতিয়ান একটি ইরানী বংশধর যারা মনসুর আব্বাসী’র যুগে মুসলমান হয় এবং আব্বাসীয় খেলাফতের সাথে তাদের সুসম্পর্ক ছিল। কিছু রেওয়ায়েতে বনিত হয়েছে যে তিনি কুম নগরির অধিবাসী ছিলেন। তার কথার ইরানের শহর আবেহ’র (সাভে’র নিকটবর্তী) উচ্চারণে সাবলীল ভাষায় কথা বলতে পারায় এবং কুম অধিবাসীদের তার সাথে যাতায়াত থাকার কারণে তাকে কুম্মী বলা হতো। এইজন্য তার উপাধি ছিল অভি, আওয়ে অথবা আবে। শেখ সাদুক্ব তাকে আভে’বাসী বলে মনে করতেন। তবে বেশিরভাগ সূত্রে তিনি নৌবাখতি নামে পরিচিত। কথিত আছে যে তিনি তাঁর মায়ের দ্বারা নৌবাখতি পরিবারের সাথে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন বলেই তাকে নৌবাখতি বলা হতো। তিনি ইমাম মাহদী (আ.)’র প্রথম নায়েব উসমান বিন সাঈদের সময়ে বাগদাদে চলে যান।
তিনি একাধারে শিয়াদের একজন প্রসিদ্ধ আলিম, ফক্বিহ এবং মুহাদ্দিস ছিলেন। তিনি নিজের যুগে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মের ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধতা অর্জন করেছিলেন। অনেকের মতে সেই যুগে ধর্ম এবং শিয়া মাযহাবী জ্ঞানের অঙ্গনে কেউ তার কোন সমকক্ষ ছিল না এবং পক্ষ ও বিপক্ষের সকলেই তাকে একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি বলে বিবেচনা করতেন। তিনি ইমাম হাসান আসকারী (আ.) এবং ইমাম মাহদী (আ.) হতে রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন। প্রায় ২২জন মুহাদ্দিস হুসাইন বিন রূহ হতে রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন। হুসাইন বিন রূহ ‘তাঅদিব’ গ্রন্থটি রচনা করেন এবং তা কুম নগরির কিছু বিজ্ঞজনের জন্য প্রেরণ করেন। তারাও উক্ত গ্রন্থটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। সেই যুগে যদিও কুম নগরী ফক্বিহ এবং মুহাদ্দিসদের কেন্দ্র ছিল তারপরেও তারা এই গ্রন্থটিকে সম্পূর্ণ অনুমোদন করেছিল। উক্ত গ্রন্থটিতে তার জ্ঞানের পরিধি এবং অভিজ্ঞতা পরিদর্শিত হয়। মুহাম্মাদ বিন উসমানের ওকালতির দায়িত্ব পালনকালে তিনি তাঁর কিছু বিষয়ে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এবং একাধারে তিনি মুহাম্মাদ বিন উসমানের বিশ্বস্ত ব্যাক্তি ছিলেন।
মুহাম্মাদ বিন উসমানের কন্য উম্মে কুলসুম বলেন: হুসাইন বিন রূহের সাথে আমার পিতার সম্পর্ক একটাই বিশ্বস্তপূর্ণ ছিল যে তিনি ধর্মীয় কোন বিশেষ বিষয়গুলোতে হুসাইন বিন রূহ’র সাথে পরামর্শ করতেন।
ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র যুগে:
হুসাইন বিন রূহ ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র সাহাবী ছিলেন কিনা এই সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। ইবনে শাহর আশুব তার মানাকিব নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র সাহাবী ছিলেন। আবার রেজাল শাস্ত্রের অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ এই বিষয়ে নিরবতা অবলম্বন করেছেন। তবে ঐতিহাসিকগণের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক হওয়া ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে কেননা ইমাম হাসান আসকারী (আ.) ২৬০ হিজরীতে শাহাদতবরণ করেন এবং নৌবাখতি ৩২৬ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।
ওকালতির দায়িত্বে:
বিশ্বস্ত রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, কিছু শিয়া মুহাম্মাদ বিন উসমানের কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে: আপনার পরে ইমাম মাহদী (আ.)’র নায়েব কে হবেন? তিনি বলেন: আবুল কাসিম হুসাইন বিন রূহ আমার দায়িত্ব পালন করবে। কেননা সে ইমাম মাহদী (আ.)’র বিশ্বত্ব একজন নায়েব। সুতরাং তোমরা তার কাছে সরণাপন্ন হবে এবং তাকে বিশ্বাস করবে। তোমাদেরকে এই কথাটি বলার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
ইমাম মাহদী (আ.)’র স্বীকৃতিনামা:
মুহাম্মাদ বিন উসমান যখন মারা যান তখন হুসাইন বিন রূহ তার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। মুহাম্মাদের দাস একটি ছোট বাক্স হুসাইন বিন রূহকে দেয়। মুহাম্মাদ বিন উসমানের মৃত্যুর কিছু দিন পরে ৫ই শাওয়াল ৩০৫ হিজরীতে ইমাম মাহদী (আ.)’র পক্ষ থেকে তিনি নায়েব হওয়ার স্বীকৃতি লাভ করেন। হুসাইন বিন রূহের জন্য ইমাম মাহদী (আ.) একটি স্বীকৃতিনামা প্রেরণ করেন যার বিষয়বস্তু ছিল নিন্মরূপ:
আমি তাকে (হুসাইন বিন রূহ) চিনি, আল্লাহ তাকে একজন আলিম হিসেবে এবং সকল প্রকারের মঙ্গল ও নিজের সন্তুষ্টির মাধ্যমে তাকে পরিচয় করান, তাঁর লেখা, বিশ্বাস, ধর্মীয়তা এবং আস্থা সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। তার সম্মান ও মর্যাদা এমন পর্যায়ের যা প্রশংসার যোগ্য। আল্লাহ তায়ালা যেন তার পদমর্যাদাকে বৃদ্ধি করেন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ যেন তাঁর উপর স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন, যেমন তিনি সমস্ত নেয়ামতের অধিকারী। আল্লাহর পক্ষ থেকে দুরুদ ও সালাম হোক তাঁর রাসুল এবং তাঁর রাসুলের পরিবারের ওপর।
হুসাইন বিন রুহ’র ব্যক্তিত্ব ও অবস্থান:
হুসাইন বিন রুহ বন্ধু ও শত্রু উভয় মহলে স্বীকৃতি অর্জন করেছিল যে, তিনি একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি। তিনি বিরোধি ব্যাক্তিদের কাছে তাকিয়া করতেন। তিনি দেশের ব্যাক্তিত্ব ও আব্বাসী খলিফার নিকট এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছিলেন। আহলে সুন্নাতরাও তাকে সম্মান করতো। তিনি যখন তাকিয়া করতেন তখন তিনি আব্বাসী খেলাফতের উজির “ইবনে ইয়াসারা’র” বাড়িতে অবস্থান করতেন। আব্বাসী খেলাফতের পক্ষ থেকে তাকে আর্থিক সাহায্যেও করা হতো। যখন তিনি ইমাম মাহদী (আ.)’র নায়েবের পদে আসীন হন তখনও খেলাফত অঙ্গনে তার যথেষ্ট সমাদর ছিল। তবে হামিদ বিন আব্বাসের ওজির থাকাকালীন সময়ে হুকুমতের খপ্পর অব্যাহতি লাভের উদ্দেশ্যে তিনি ৩০৬ থেকে ৩১১ হিজরী পর্যন্ত নিজেকে আত্মগোপন করে রেখেছিলেন। শেখ তুসী বলেন: হুসাইন বিন রূহ’র আত্মগোপনকালীন সময়ে সালমাগ্বানী তার কাজগুলো সম্পাদন করতেন। কিন্তু পরবর্তিতে যখন সালমাগ্বানী অতিরঞ্জিত করা শুরু করে তখন হুসাইন বিন রূহ লোকজনকে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেন। ৩১২ হিজরীতে ইমাম মাহদী (আ.) পক্ষ থেকে একটি চিঠি আসে যাতে সালমাগ্বানীর প্রতি ইমাম মাহদী (আ.) অভিসম্পাত প্রেরণ করেছিলেন।
আব্বাসী খলিফা মোক্তাদির বিল্লাহ’র হুকুমতকালে তিনি পাঁচ বছর (৩১২- ৩১৭) পর্যন্ত কারাবাসে ছিলেন। শিয়া সূত্রসমূহে তার গ্রেফতারীর কোন সঠিক কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ঐতিহাসের পাতায় দুইটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে:
১. ক্ষমতাসীন সরকারকে কর প্রদানে অস্বীকার করা।
২. কারামাতে ফেরক্বার লোকজনদের সাথে যোগাযোগ। যারা বাহরাইনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রে রেখেছিল।
তবে কিছু গবেষক বলেছেন: তাকে উল্লেখিত কারণে বন্দি করা হয়নি বরং তাকে শিয়াদের সাথে তাঁর সম্পর্ক তাদেরকে শক্তিশালী করা, তহবিল সংগ্রহ করা এবং তা ইমাম মাহদী (আ.)’র কাছে প্রেরণ করার কারণে তাকে বন্দী করা হয়েছিল। তবে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরে খেলাফতের সাথে নৌবাখতি বংশের প্রভাব থাকার কারণে কেউ তাকে কষ্ট দেওয়ার দূসাহস দেখায়নি।
কিছু শিয়া আলিম আবু সাহল নৌবাখতিকে জিজ্ঞাসা করে কিভাবে সম্ভবে যে তোমার পরিবর্তে হুসাইন বিন রূহ ইমাম মাহদী (আ.)’র নায়েব হয়ে গেল?
আবু সাহল তাদের উত্তরে বলেন: ইমাম (আ.)গণ ভাল জানেন কাকে এই পদে নিযুক্ত করতে হবে। আমি এমন একজন ব্যাক্তি যে শিয়াদের শত্রুদের সাথে সাক্ষাত করি এবং তাদের সাথে আকিদাগত বিষয় নিয়ে মুনাযিরা (তর্ক বিতর্ক) করি। আমি যদি আবুল কাসিম হুসাইন বিন রূহ’র ন্যায় ইমাম মাহদী (আ.)’র অবস্থানের জায়গা সম্পর্কে অবগত হতাম তাহলে হয়তো তর্ক বিতর্কের সময় নিজের দাবীকে প্রমাণ করার জন্য ইমাম মাহদী (আ.)’র অবস্থানের স্থানটি তাদেরকে দেখিয়ে দিতাম। কিন্তু হুসাইন বিন রূহ এই বিষয়ে হচ্ছেন তুলনাহীন, ইমাম মাহদী (আ.) যদি তার কাপড়ের ভিতরে লুকিয়ে থাকে এবং তার দেহকে কাঁচি দ্বারা টুকরা টুকরা করে দেয়া হয় তারপরেও সে নিজের কাপড়ের মধ্যে থাকা ইমাম মাহদী (আ.)কে লুকিয়ে রাখবে।
হুসাইন বিন রূহ’র খ্যাতি শিয়াদের ওপরে এমনভাবে প্রভাব ফেলে যে, তারা নিজ নিজ এলাকার উকিলদের সাথে যোগাযোগ না করে সরাসরি হুসাইন বিন রূহের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতো।
হুসাইন বিন রূহ বাগদাদে ১০জন উকিল নিযুক্ত করেছিলেন এবং বিভিন্ন শহরগুলোতে অন্যান্য উকিলদের মাধ্যমে ইমাম মাহদী (আ.)’র নায়েবের মূল ভূমিকা পালন করেন। হুসাইন বিন রূহ’র কিছু উকিলবৃন্দ যারা বিভিন্ন কাজে তাকে সহায়তা করতো তারা ছিলেন নিন্মরূপ:
১. মুহাম্মাদ বিন নাফিস: যিনি আহওয়ায নামক এলাকায় ছিলেন তার মাধ্যমে হুসাইন বিন রূহ’র জন্য ইমাম মাহদী কর্তৃক প্রেরিত প্রথম পত্রটি প্রকাশ পায়।
২. জাফর বিন আহমাদ বিন মাতিল।
৩. আবু আবদিল্লাহ কাতিব।
৪. আহমাদ বিন মাতিল।
৫. আহমাদ বিন ইব্রাহিম নৌবাখতি।
৬. আবু সাহল নৌবাখতি।
৭. মুহাম্মাদ বিন হাসান সীরাফি।
৮. মুহাম্মাদ বিন জাফর আসাদী রাযি।
৯. হাসান বিন আলী ওয়াজানাআ নাসিবী।
১০. মুহাম্মাদ বিন হাম্মাম ইসকাফি।
১১. কাসিম বিন আলা (আযারাইজান)
১২. মুহাম্মাদ বিন আলী শালমাগ্বানী। পরবর্তিতে সে বিভ্রান্ত হয়ে যায় এবং উকিল পদ থেকে তাকে পদচ্যুত করা হয়।
সালমাগ্বানীর ফেতনা দমন:
আবু জাফর মুহাম্মাদ বিন আলী সালমাগ্বানী ওরফে ‘ইবনে আযাকের’ যে বাগদাদের একজন শিয়া আলেম এবং হুসাইন বিন রূহ’র নিকটস্থ সঙ্গীদের মধ্যে একজন ছিলেন। যখন হুসইন বিন রূহ নিজেকে আত্মগোপন করেন এবং বন্দী অবস্থায় ছিলেন তখন সকল প্রকারের তহবিলের লেনদেন সালমাগ্বানীর মাধ্যমে সম্পাদিত হতো। কিন্তু সে উক্ত দায়িত্বের অসৎ ব্যাবহার করে এবং নিজেকে “বাবুল মাহদী” ইমাম মাহদী (আ.)’র নায়েব বলে দাবী করে এবং পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়। যখন হুসাইন বিন রূহ বন্দী অবস্থায় তার এহেন অবনতি সম্পর্কে অবগত হন তখন তিনি কারাগার থেকে শিয়াদেরকে চিঠি লিখেন এবং তার সাথে সক প্রকারের সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেন। অবশেষে ৩১২ হিজরীতে ইমাম মাহদী (আ.)’র পক্ষ থেকে একটি চিঠি আসে তাতে তিনি সালমাগ্বানীর প্রতি অভিসম্পাত করেন।
হুসাইন বিন রূহ’র কারামত:
কিছু সূত্রসমূহে হুসাইন বিন রূহ’র কারামতসমূহ বর্ণিত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে সন্দেহ দূর করার জন্য এবং নিজেকে ইমাম মাহদী (আ.)’র নায়েব প্রমাণের জন্য কখনও কখনও রহস্য এবং সংকেতসমূহকে উন্মোচন করতেন। কিছু চিহ্নাবলিকে প্রকাশ করতেন, আহমাদ বিন ইসহাক্ব কুম্মীর মৃত্যু সম্পর্কে অবগত করেছেন। মুহাম্মাদ বিন হাসান সেইরাফিকে তার হারানো সোনার ঠিকানা দেয়া ইত্যাদি।
হুসাইন বিন রূহ’র মৃত্যু:
আবুল কাসিম হুসাইন বিন রূহ ইমাম মাহদী (আ.)’র নায়েব হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ সময় তাকিয়া অবলম্বন করে চলতেন। অবশেষে ১৮ই শাবান ৩২৬ হিজরীতে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তাকে নৌবাখত নামক স্থানে আলী বিন আহমাদে নৌবাখতির বাসভবনে দাফন করা হয়।
তথ্যসূত্র:
১. দায়েরাতুল মাআরেফে বুযুরগে শিয়া, খন্ড ৬।
২. কেফায়াতুল মুওয়াহহেদীন, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩৪৮।
৩. বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৫১, পৃষ্ঠা ৩৫৬, ৩৪২, খন্ড ৫৩, পৃষ্ঠা ১৯২, খন্ড ৮৫, পৃষ্ঠা ২১১।
৪. আল গ্বীবা, পৃষ্ঠা ১১২, ১৯৫, ২২৫, ২৩৮, ৩০৩, ৩২৪, ৩৭১, ৩৭২, ৩৭৩, ৩৭৮, ৩৮৬, ৩৮৮, ৩৯০, ৩৯১।
৫. রেজালে কাশশি, পৃষ্ঠা ৫৫৭।
৬. কামাল উদ্দিন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫০১- ৫০৪, ৫১৮, ৫১৯।
৭. খান্দানে নৌবাখতি, পৃষ্ঠা ২১৪।
৮. তারিখে সিয়াসী গায়বাতে ইমামে দাওয়াযদাহুম, পৃষ্ঠা ১৯২- ১৯৪, ১৯৬, ১৯৮।
৯. আল মানাকেব, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৪২৩।
১০. সীরাহ আলামুন নোবালা, খন্ড ১৫, পৃষ্ঠা ২২২।
১১. যিন্দোগানী নাওয়াবে খাস ইমামে যামান, পৃষ্ঠা ২৩৭।
১২. হায়াতে ফিকরী সিয়াসী আয়েম্মা, পৃষ্ঠা ৫৮৩।
১৩. এলালে দাস্তগীরি হুসাইন বিন রূহ নৌবাখতি।
১৪. আয়ানুশ শিয়া, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ২২।
১৫. তারিখে গায়বাত, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪৮৩।
১৬. মোজামে রেজালিল হাদীস, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৩৬।
১৭. মেসবাহুল মোতাহাজ্জেদ, পৃষ্ঠা ৮২১।