Press "Enter" to skip to content

কেন মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র দেহকে তিনদিন পরে দাফন করা হয়েছিল?

এস, এ, এ

রাসুল (সা.)’এর পবিত্র দেহকে বিলম্বে দাফন করার পিছনে অনেকগুলো সামাজিক ও রাজনৈতিক কারন ছিলো  যথা :

 (১) – হজরত আলী (আঃ) সকল সাহাবী ও আনসারদের জন্য এই তিনদিন অপেক্ষা করছিলেন যাতে সকলেই নবী (সাঃ) জানাজায় শরীক হতে পারেন কেননা অধিকাংশ সাহাবি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না !!!

 ( ২) – যদি হজরত আলী (আ.) তাড়াতাড়ি রাসুল (সা.)এর পবিত্র লাশকে দাফন করতেন তাহলে পরে লোকজন অভিযোগ করতো যে, কেন আমাদের জন্য একটুও অপেক্ষা করা হলোনা ! আর দ্রুত দাফন করে দেওয়া হলো।

যদি আমাদের অপেক্ষা করা হত তাহলে আমরাও জানাজায় শরীক হতে পারতাম এই অভিযোগ পরে যেন কেউ না করেন তাই হজরত আলী (আঃ) তাদের জন্য তিনদিন অপেক্ষা করেছিলেন (যদিও তারা তিনদিনের মধ্যেও রাসুল (সা.)এর লাশ দাফন করার জন্য আসেনি )!!!

 (৩) – যদি হজরত আলী (আ.) দ্রুত রাসুল (সা.)এর  লাশ দাফন করতেন তাহলে আজ আর কেউ, বনু সাকীফার,,ঘটনা কি এবং ওখানে সেই সময় কি জঘন্য ঘটনা ঘটেছিল কেউ জানতে পারত না । বনু সকিফার ঘটনা ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যেতো ।

আল্লাহর রাসুলের লাশ মুবারক তিনদিন রেখে মাওলা আলী (আঃ) বনু সকীফায় অংশগ্রহণকারিদের মুখোশ  উন্মোচন করে ছিলেন।.

সত্যি যদি রাসুলকে তাড়াতাড়ি দাফন করে দেয়া হত তখন সাকীফা কে যেমন ভাবে আমরা আজ দেখছি হয়তো সেই ভাবে দেখতে পেতাম না ।

রাসুলের পবিত্র লাশ ফেলে রেখে ওনার গোসল , কাফন ও দাফনে অংশগ্রহন না করে বনু সাকীফায় সংঘটিত জঘন্য কুৎসিত নোংরামিকেই হজরত আলী (আঃ) জনসম্মুখে এনে দিয়েছেন !

তারা কত নিষ্ঠুর ও নিকৃষ্ট ছিলো এতেই বোঝা যায় যে , রাসুলের পবিত্র লাশ পড়ে আছে আর তারা গোল মিটিং করছে যে , কে রাসুলের স্হানে আসন গ্রহন করবে !!!!! রাসুলের জানাজা থেকে ক্ষমতার হালুয়া রুটি ভাগ বাটোয়ারা তাদের কাছে সবার উপরে স্থান পেয়েছিল ! হায় , এই হচ্ছে মহানবীর সাহাবা-চরিত্র !

যেমনটি কদাচিৎ দেখি যে , আমাদের সমাজে যখন এক বাপের কয়েকটি কুসন্তান হয় তারা বাপের গোসল কাফনে ব্যাস্ত না হয়ে জমিজায়গার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্য ঝগড়া করে ।

(৪) – বর্ণিত হয়েছে..মানুষ মারা গেলে যদি মরহুম সাধারন ব্যাক্তি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে খুবই শিগগির দাফন কাফন করা উচিত ।

কিন্তু মরহুম যদি কোন আল্লাহর অলি বা কোন বড় পরহেজগারও আলেম ব্যাক্তি হন তাহলে সেক্ষেত্রে একদিন অথবা দুইদিন বা তিনদিন (যদি লাশ খারাপ হওয়ার আশংকা না থাকে) রাখা যায় । যাতে সকলে এসে তার জানাজায় শরীক হতে পারে। এবং তার পরিবারের লোক ভালোভাবে শোক পালন করতে পারে ।