Press "Enter" to skip to content

অবশেষে জোলানি নিরাপত্তা-সহায়তা চাইলেন পুতিনের কাছে!

সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান আবু মুহাম্মদ জোলানি দক্ষিণে একটি অসামরিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলি চাপ মোকাবেলা করতে ও সিরিয়ার সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। সিরিয়ায় সরকারের পতনের পর থেকে দেশটিতে ইসরায়েলি হামলা ও দখলদারিত্ব ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন জোলানি। বাশার আল আসাদের পতনের পর ইসরায়েল সিরিয়ার বহু এলাকা দখল করে এবং এক হাজারেরও বেশি বিমান হামলা চালিয়ে সিরিয়ার বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও অন্য অনেক সামরিক স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করেছে। আসাদ সরকারের আমলে ইসরাইল মাঝে মধ্যে সিরিয়ার ওপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও সিরিয়ার ব্যাপক প্রতিরোধ ও পাল্টা জবাবের কারণে দেশটির ওপর নির্বিচার হামলা চালানোর সাহস করেনি কখনও ইসরায়েল।

বাশার আসাদের পতনের পর ইসরায়েলি স্থল ও বিমান হামলার মোকাবেলায় জোলানির বাহিনীর নিস্ক্রিয়তা ব্যাপক প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে সিরিয়দের মধ্যে। জোলানির বাহিনী দেশে তাদের বিরোধী ও সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক দমন অভিযান চালাতে দক্ষতা ও কঠোরতা দেখালেও ইসরায়েলি আগ্রাসনকে প্রায় বিনা বাধায় অগ্রসর হতে দিয়েছে । এ অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে জোলানি হয়ত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কিছুটা সক্রিয় হওয়ার সাহস অর্জনের চেষ্টা করছেন বা জনগণকে লোক-দেখানো প্রক্রিয়ায় আশ্বস্ত রাখতে চাইছেন বলে কোনো কোনো বিশ্লেষক সন্দেহ করছেন।

সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান ঘাঁটি ও নৌ-ঘাঁটি রয়েছে যা বাশার আল আসাদের পতনের পরও টিকে আছে। সিরিয়ার অনেক অঞ্চলের ওপর এখনও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি জোলানির নেতৃত্বাধীন হায়াত আত তাহরির আশ শাম বা এইচ টি এস-এর সেনারা।  মার্কিন মদদপুষ্ট কুর্দিরা সিরিয়ার  এক বিশাল এলাকা দখল করে রেখেছে। আর তাদেরকে দমন করার নামে সিরিয়ার সীমান্তের অনেক ভেতরে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক তুর্কি সেনা।

জোলানি ইরানের সঙ্গেও পুনরায় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ও সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছেন বলে কোনো কোনো সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে ইরান সিরিয়ায় সকল পক্ষের অংশগ্রহণমূলক একটি সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত জোলানি সরকারের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে না বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন।