এস, এ, এ
নাম: উসমান বিন সাঈদ আমরী।
উপাধি: আমরী, সাম্মান, যিয়াত, আসকারী।
জীবন যাপনের অবস্থান: সামেরা, বাগদাদ।
মৃত্যু: ২৬৭ হিজরীর পূর্বে, বাগদাদে।
কবর: বাগদাদ।
দ্বীনি পরিচিতি: তিনি ইমাম মুহাম্মাদ তাক্বি (আ.), আলী নাক্বি (আ.), হাসান আসকারী এবং ইমাম মাহদী (আ.)’র সাহাবী ছিলেন।
পরিচয়:
উসমান বিন সাঈদের জন্ম তারিখ ইতিহাসে সঠিকভাবে বর্ণিত হয়নি। তবে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি ১১ বছর বয়সে ইমাম মুহাম্মাদ তাক্বি (আ.)’র খাদেমের দায়িত্ব পালন করতেন।
শেখ তুসী (রহ.)’র বর্ণনা অনুযায়ি তিনি ১১ বছর বয়সে ইমাম আলী নাক্বি (আ.)’র খাদেম হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন।
তিনি একাধারে আলী নাক্বি (আ.), হাসান আসকারী এবং ইমাম মাহদী (আ.)’র বিশ্বস্ত উকিল ছিলেন। উসমান বিন সাঈদ প্রথমে সামেরায় জীবন যাপন করতো কিন্তু ১১তম ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র শাহাদতের পরে তিনি বাগদাদে চলে যান। সেই যুগে সামেরা আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী এবং সেনাবাহিনীর সদর দফতর ছিল। আব্বাসী খেলাফতের সাথে ইমামতের সাথে শত্রুতামূলক সম্পর্ক ছিল। আর এই কারণে উসমান বিন সাঈদ বাগদাদে চলে আসে। বাগদাদের কারাখ নামক যা শিয়া অধ্যুষিত এলাকা ছিল সেখানে তিনি শিয়াদের মিলনস্থলে রূপান্তরিত করেন।
উসমান বিন সাঈদ আমরী ওরফে আবু আমরু। তিনি গায়বাতে সুগরার সময় ইমাম মাহদী (আ.)’র প্রথম নায়েব ছিলেন। তিনি একাধারে তিনজন (আলী নাক্বি (আ.), হাসান আসকারী এবং ইমাম মাহদী (আ.)) ইমামদের সাহাবী ছিলেন। তবে তিনি ইমাম মুহাম্মাদ তাক্বি (আ.)’র সাহাবী ছিলেন কিনা এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত বর্ণিত হয়েছে। উসমান বিন সাঈদ আমরী ইমাম মহাদী (আ.)’র ইমামতের শুরু থেকে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ৭- ৮ বছর ইমামের নায়েবের দায়িত্ব পালনন করেন। তারপরে তার সন্তান মুহাম্মাদ বিন উসমান নায়েবের দায়িত্ব পালন করেন। উসমান যখন ইমামের নায়েবের দায়িত্ব লাভ করেন তখন তিনি বাগদাদে চলে যান। বাগদাদের আশেপাশের এলাকাগুলোতে উসমানের উকিলরা ছিল তারা জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে তার কাছে প্রেরণ করতো। ইমাম মাহদী (আ.) উসমানের মৃত্যুর পূর্বে তার সন্তানের কাছে সমবেদনামূলক একটি চিঠি প্রেরণ করেন।
নাম ও উপাধি:
উসমান বিন সাঈদের বিভিন্ন উপাধি ছিল যেমন: যাইয়াত, আমরী। রেজাল গ্রন্থসমূহে তার নাম বর্ণিত হয়েছে উমসান বিন সাঈদ। তবে রেজালে কাশশি রানক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, তার নাম হাফস বিন আমরু ছিল। হয়তো তিন গোপনে বিভিন্ন উকিলদের সাথে দেখা করতেন তাই হয়তো নামকরণ করা হয় ‘হাফস বিন আমরু’।
তার উপনাম ছিল আবু আমরু। তবে বিহারুল আনওয়ার এবং সাফিনাতুল বিহার নামক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, তার নাম ছিল আবু মুহাম্মাদ।
তবে তিনি আমরী নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। উসমানকে দুইটি কারণে আমরী বলে ডাকা হতো:
১. ইমাম হাসান আসকারী (আ.) পছন্দ করতেন না যে তৃতীয় খলিফার নামে তার নামকরণ করা হোক। আর তাই তার নামের শেষে আমরী শব্দটি যোগ করা হয়।
২. আমরু তার পূর্বপুরুষ থেকে তার নামের সাথে যোগ হয় কিন্তু আমরী নামে তাকে ডাকা হতো। মুহাদ্দিসে কুম্মীও উক্ত কারণটি উল্লেখ করেছেন। উসমান বিন সাঈদের উপাধি ছিল সাম্মান, যাইয়াত। তিনি বণি আসাদ গোত্রের লোক ছিলেন বলে তাকে আসাদিও বলা হতো। যেহেতু তিনি আসকার নামক স্থানে থাকতেন বলে তাকে আসকারী বলা হতো।
সন্তান সন্ততি: উসমান বিন সাঈদের দুইটি পুত্র সন্তান ছিল।
ইমাম আলী নাক্বি (আ.)’র উকিল উসমান বিন সাঈদ আমরী:
ইমাম আলী নাক্বি (আ.)’র সাহাবী ছিলেন। তার ওকালতি সম্পর্কে ইমাম (আ.) স্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন। ১৮ আহমাদ বিন ইসহাক্ব কুম্মী ইমাম আলী নাক্বি (আ.) হতে রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেছেন যে, উসমান বিন সাঈদ আমরী একজন বিশ্বস্ত এবং আমানতদার ব্যাক্তি। ইমাম আলী নাক্বি (আ.) যা কিছু দেন তা তিনি জনগণের কাছে পৌছে দেন অনুরূপভাবে জনগণ যা দেয় তা তিন ইমামের কাছে পৌছে দেয়।
ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র উকিল উসমান বিন সাঈদ আমরী:
উসমান বিন সা্ঈদ ইমাম আলী নাক্বি (আ.)’র ন্যায় ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র একজন আস্থাভাজন ব্যাক্তি ছিলেন। শেখ তুসী তার রেজালে তুসী নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, উসমান বিন সাঈদ ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র উকিল ছিলেন। বিভিন্ন রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম হাসান আসকারী (আ.) তাকে নিজের উকিল হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন এবং জনগণকে এই বিষয়ে সাক্ষি রেখে বলেছেন যে, উসমান আমার উকিল। ইমাম (আ.) তাকে উকিলদের প্রধান পদ দান করেন। অতঃপরর যত প্রকারের তহবিল জনগণের কাছ থেকে আসতো উসমান তা জমা করতেন এবং ইমাম (আ.)কে পৌছে দিতেন।
ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র শাহাদতের পরে উসমান বিন সাঈদের দায়িত্বে ইমাম (আ.)’র কাফন ও দাফনের দায়িত্ব পালন করে। ইমামীয়া বিশ্বাস অনুযায়ি উসমানের এই আমলটি ইমাম মাহদী (আ.)’র প্রতিনিধি হওয়ার সাক্ষ্য বহন করে।
ইমাম জামানের প্রতিনিধিত্ব:
ইমাম হাসান আসকারী (আ.) উসমান বিন সাঈদের প্রতিনিধিত্বের স্বপক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ইমাম হাসান আসকারী (আ.) তাঁর সন্তানকে ৪০জন সাহাবীকে দেখিয়ে অবহিত করেন যে, গায়বাতে সুগরার সময়কালে সকলে যেন উসমানের অনুসরণ করে। ইমাম মাহদী (আ.) তাঁর গায়বাতে সুগরার সময়কালে উসমান বিন সাঈদকে দেখিয়ে দেন যেন তারা সকলে তার অনুসরণ করে।
ইমাম (আ.) শোকবার্তার কিছু অংশ:
তোমার পিতা সৌভাগ্যময় জীবন অতিবাহিত করে মৃত্যুবরণ করেছেন আল্লাহ যেন তাঁর প্রতি রহম করেন এবং তাকে আউলিয়া, সৈয়দ এবং মাওয়ালিদের সাথে সম্পৃক্ত করেন। আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁর মুখকে উজ্জল করেন এবং তাকে সকল প্রকারের ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে মুক্ত রাখেন। তোমার সওয়াবকে যেন বৃদ্ধি করে দেন। তোমাকে তার মৃত্যুর পরে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দান করেন। তুমি দুঃখিত আমরাও দুঃখিত হয়েছি। তোমার পিতার বিচ্ছেদ আমাদেরকে চিন্তিত করেছে। আল্লাহ যেন তাকে নিজের রহমত দ্বারা তৃপ্ত করুক।
উসমান বিন সাঈদ সামেরায় তথাকথিত আব্বাসী খলিফাদের দেয়া অতিরিক্ত কষ্ট সহ্য করার কারণে ইমাম মাহদী (আ.)’র নির্দেশে তিনি বাগদাদে চলে যান। জাসিম হুসাইনের ‘তারিখে সিয়াসিগায়বাতে ইমামে দাওয়াযদাহুম’ নামক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, যদিও সামেরা রাজধানী ছিল কিন্তু সামেরা যেহেতু আব্বাসীয় সৈন্যদের প্রধান ঘাটি রূপান্তরিত হয়েছিল এবং তারা ইমাম (আ.)গণের ঘোর বিরোধি ছিল এবং উসমান যেহেতু চাচ্ছিলেন ইমাম (আ.)’র জন্য একটি উকিল সংগঠন তৈরী করতে সেহেতু তিনি বাগদাদে শিয়া অধ্যুষিত ‘কারাখ’ নামক এলাকাটিকে নিজের বসবাসের জন্য বেছে নেন যেন সেখান থেকে ইমামতের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে।
উসমান বিন সাঈদ যতদিন ইমাম মাহদী (আ.)’র উকিল ছিলেন ততদিন তিনি জনগণের দেয়া অর্থগুলো এবং অনুরূপভাবে শিয়াদের লিখা চিঠিগুলো ইমাম (আ.)’র কাছে পৌছে দিতেন। ইমাম মাহদী (আ.) দেয়া উত্তরগুলো পুণরায় শিয়াদের কাছে পৌছে দিতেন। ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র ভাই জাফর কাযযাব যখন স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দাবী করে তখন ইমাম হাসান আসকারী (আ.)’র সাহাবী আহমাদ বিন ইসহাক্ব বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য ইমাম মাহদী (আ.)’র কাছে একটি চিঠি লিখে এবং তা উসমান বিন সাঈদ’র মাধ্যমে প্রেরণ করে। ইমাম মাহদী (আ.) জাফরে কাযযাবের দাবীকে প্রত্যাখ্যান করেন, তাকে দুর্নীতিকারী বলে আখ্যায়িত করেন এবং জানাযার নামাজ পড়ান।
তাবলিগের পদ্ধতি:
উসমান বিন সাঈদ যয়তুনের তেল বিক্রয় করতো এবং তার এই কাজটি আসল উদ্দেশ্যেকে গোপন রাখতে সহায়ক ছিল; কেননা তিনি উকিল সংস্থার প্রধান ছিলেন এবং তিনি চাইতেন না যে, কেউ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হোক এবং তিনি ও উকিল সংস্থাটি আব্বাসীয় শাষকের কুদৃষ্টি থেকে নিরাপদে থাকে। উসমান বিন সাঈদ শিয়াদের দেয়া অর্থ এবং চিঠিগুলোকে তেলের পাত্রের মধ্যে লুকিয়ে যেত এবং তা ইমাম (আ.)কে পৌছে দিত যেন এই বিষয়গুলো গোপন থাকে। আর এই কারণে তাকে সাম্মান, এবং যাইয়াত উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
উসমান বিন সাঈদের সহায়কবৃন্দ:
সেই সঙ্কটপূর্ণ যুগে উসমান বিন সাঈদের তিনজন বিশ্বস্ত উকিল ছিল: আহমাদ বিন ইসহাক্ব, মুহাম্মাদ কোতান এবং হায়েয বিন ইয়াযিদ ওয়াসসাআ। তিনি বিভিন্ন এলাকা যেমন: কুফার উকিলদের সাথে সম্পর্ক এবং তদারকির দায়িত্ব পালন করতেন।
মৃত্যু:
উসমান বিন সাঈদের মৃত্যুর সঠিক তারিখ বর্ণিত হয়নি। কিন্তু এই সম্পর্কে দুইটি মত বর্ণিত হয়েছে:
১. উসমান ২৬৭ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন এবং এই তারিখটি অধিকাংশ ঐতিহাসিক এবং রেজাল শাস্ত্রবীদগণ একমত পোষণ করেছেন।
২. উসমান ২৮০ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।
উসমানের মৃত্যুর পরে তার সন্তান মুহাম্মাদ বিন উসমান তাকে গোসল দেন এবং বাগদাদের পশ্চিম মদীনাতুস সালামের ‘আদদারব’ নামক এলাকায় তাকে দাফন করা হয়। যা ৪০৮ থেকে ৪৩০ হিজরী পর্যন্ত লোকজন সেখানে যিয়ারত করতো কিন্তু বর্তমানে তা বাগদাদের পূর্বে ‘রাসসাফে’ সুরজেহ বাজার নামে পরিচিত।
যিয়ারতনামা:
আল্লাম মাজলিসি (রহ.) তার ‘বিহারুল আনওয়ার’ নামক গ্রন্থে উসমান বিন সাঈদের যিয়ারতনামা উল্লেখ করেছেন। যিয়ারতটি নিন্মরূপ:
السَّلَامُ عَلَیک أَیهَا الْعَبْدُ الصَّالِحُ النَّاصِحُ لِلَّهِ وَ لِرَسُولِهِ وَ لِأَوْلِیائِهِ الْمُجِدُّ فِی خِدْمَةِ مُلُوک الْخَلَائِقِ أُمَنَاءِ اللَّهِ وَ أَصْفِیائِهِ السَّلَامُ عَلَیک أَیهَا الْبَابُ الْأَعْظَمُ وَ الصِّرَاطُ الْأَقْوَمُ وَ الْوَلِی الْأَکرَمُ السَّلَامُ عَلَیک أَیهَا الْمُتَوَّجُ بِالْأَنْوَارِ الْإِمَامِیةِ الْمُتَسَرْبِلُ بِالْجَلَابِیبِ الْمَهْدِیةِ الْمَخْصُوصُ بِالْأَسْرَارِ الْأَحْمَدِیةِ وَ الشُّهُبِ الْعَلَوِیةِ وَ الْمَوَالِیدِ الْفَاطِمِیةِ السَّلَامُ عَلَیک یا قُرَّةَ الْعُیونِ وَ السِّرَّ الْمَکنُونَ السَّلَامُ عَلَیک یا فَرَجَ الْقُلُوبِ وَ نِهَایةَ الْمَطْلُوبِ السَّلَامُ عَلَیک یا شَمْسَ الْمُؤْمِنِینَ وَ رُکنَ الْأَشْیاعِ الْمُنْقَطِعِینَ السَّلَامُ عَلَی وَلِی الْأَیتَامِ وَ عَمِیدِ الْجَحَاجِحَةِ الْکرَامِ السَّلَامُ عَلَی الْوَسِیلَةِ إِلَی سِرِّ اللَّهِ فِی الْخَلَائِقِ وَ خَلِیفَةِ وَلِی اللَّهِ الْفَاتِقِ الرَّاتِقِ السَّلَامُ عَلَیک یا نَائِبَ قُوَّامِ الْإِسْلَامِ وَ بَهَاءِ الْأَیامِ وَ حُجَّةَ اللَّهِ الْمَلِک الْعَلَّامِ عَلَی الْخَاصِّ وَ الْعَامِّ الْفَارُوقَ بَینَ الْحَلَالِ وَ الْحَرَامِ وَ النُّورَ الزَّاهِرَ وَ الْمَجْدَ الْبَاهِرَ فِی کلِّ مَوْقِفٍ وَ مَقَامٍ السَّلَامُ عَلَیک یا وَلِی بَقِیةِ الْأَنْبِیاءِ وَ خِیرَةَ إِلَهِ السَّمَاءِ الْمُخْتَصَّ بِأَعْلَی مَرَاتِبِ الْمَلِک الْعَظِیمِ الْمُنْجِی مِنْ مَتَالِفِ الْعَطَبِ الْعَمِیمِ ذی [ذَا اللِّوَاءِ الْمَنْصُورِ وَ الْعَلَمِ الْمَنْشُورِ وَ الْعِلْمِ الْمَسْتُورِ الْمَحَجَّةَ الْعُظْمَی وَ الْحُجَّةَ الْکبْرَی سُلَالَةَ الْمُقَدَّسِینَ وَ ذُرِّیةَ الْمُرْسَلِینَ وَ ابْنَ خَاتِمِ النَّبِیینَ وَ بَهْجَةَ الْعَابِدِینَ وَ رُکنَ الْمُوَحِّدِینَ وَ وَارِثَ الْخِیرَةِ الطَّاهِرِینَ صَلَّی اللَّهُ عَلَیهِمْ صَلَاةً لَا تَنْفَدُ وَ إِنْ نَفِدَ الدَّهْرُ وَ لَا تَحُولُ وَ إِنْ حَالَ الزَّمَنُ وَ الْعَصْرُ اللَّهُمَّ إِنِّی أُقَدِّمُ بَینَ یدَی سُؤَالِی الِاعْتِرَافَ لَک بِالْوَحْدَانِیةِ وَ لِمُحَمَّدٍ بِالنُّبُوَّةِ وَ لِعَلِی بِالْإِمَامَةِ وَ لِذُرِّیتِهِمَا بِالْعِصْمَةِ وَ فَرْضِ الطَّاعَةِ وَ بِهَذَا الْوَلِی الرَّشِیدِ وَ الْمَوْلَی السَّدِیدِ أَبِی مُحَمَّدٍ عُثْمَانَ بْنِ سَعِیدٍ أَتَوَسَّلُ إِلَی اللَّهِ بِالشَّفَاعَةِ إِلَیهِ لِیشْفَعَ إِلَی شُفَعَائِهِ وَ أَهْلِ مَوَدَّتِهِ وَ خُلَصَائِهِ أَنْ یسْتَنْقِذُونِی مِنْ مَکارِهِ الدُّنْیا وَ الْآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّی أَتَوَسَّلُ إِلَیک بِعَبْدِک عُثْمَانَ بْنِ سَعِیدٍ وَ أُقَدِّمُهُ بَینَ یدَی حَوَائِجِی أَنْ تُصَلِّی عَلَی مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ شِیعَتِهِ وَ أَوْلِیائِهِ وَ أَنْ تَغْفِرَ لِی الْحُوبَ وَ الْخَطَایا وَ تَسْتُرَ عَلَی الزَّلَلَ وَ السَّیئَاتِ وَ تَرْزُقَنِی السَّلَامَةَ مِنَ الرَّزَایا فَکنْ لِی یا وَلِی اللَّهِ شَافِعاً نَافِعاً وَ رُکناً مَنِیعاً دَافِعاً فَقَدْ أَلْقَیتُ إِلَیک بِالْآمَالِ وَ وَثِقْتُ مِنْک بِتَخْفِیفِ الْأَثْقَالِ وَ قَرَعْتُ بِک یا سَیدِی بَابَ الْحَاجَةِ وَ رَجَوْتُ مِنْک جَمِیلَ سِفَارَتِک وَ حُصُولَ الْفَلَاحِ بِمَقَامِ غِیاثٍ أَعْتَمِدُ عَلَیهِ وَ أَقْصِدُ إِلَیهِ وَ أَطْرَحُ نَفْسِی بَینَ یدَیهِ وَ السَّلَامُ عَلَیک وَ رَحْمَةُ اللَّهِ وَ بَرَکاتُهُ ثُمَّ صَلِّ صَلَاةَ الزِّیارَةِ وَ أَهْدِهَا لَهُ وَ لِشُرَکائِهِ فِی النِّیابَةِ صَلَّی اللَّهُ عَلَیهِمْ أَجْمَعِینَ ثُمَّ وَدِّعْهُ مُسْتَقْبِلًا لَهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَی.
তথ্যসূত্র:
১. তারিখে সিয়াসী গায়বাতে ইমামে দাওয়াযদাহুম, পৃষ্ঠা ১৪২, ১৪৯।
২. রেজালে তুসী, পৃষ্ঠা ৩৮৯, ৪০১।
৩. ইখতিয়ার মারেফাতুর রেজাল, পৃষ্ঠা ৮১৩।
৪. বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৯৯, পৃষ্ঠা ২৯৩, খন্ড ৫১, পৃষ্ঠা ৩৪৪, খন্ড ৫০, পৃষ্ঠা ৩২৩।
৫. সাফিনাতুল বিহার, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ১৪৫।
৬. আল গ্বীবা, পৃষ্ঠা ২২৯- ২৩১, ২৩২, ৩৫৪, ৩৫৬, ৩৬১।
৭. তারিখে গাইবাত, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৭৯।
৮. রাহ তুসে আতাবাতে আলীয়াত, পৃষ্ঠা ৩৬৪, ৩৬৭।
৯. আল মানাকেব, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৮০।
১০. কামুসুর রেজাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৪৯।
১১. কামাল উদ্দিন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৩৫, ৪৫৬।
১২. আল এহতেজাজ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৬৮।
১৩. সাযমানে ওয়েকালাত, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৮২।