Press "Enter" to skip to content

কিছু নৈতিকতার হাদিস

🌹রাসূল(সা.):‎🌹

‎✍ “এক লোকমা হারাম খাদ্য পরিহার করা আল্লাহর ‎নিকট দুই হাজার নফল নামাজের চেয়ে বেশী ‎পছন্দনীয়।”‎

📚তানবিহুল খাওয়াতির, ২/১২০।

🌹রাসূল(সা.):‎🌹

‎✍“দোয়া মু’মিনের অস্ত্র এবং দ্বীনের স্তম্ভ আর আসমান ‎ও জমিনের জ্যোতি।”‎

📚আল্ কাফি, খণ্ড ২, পৃঃ নং ৪৬৮, হাদিস নং ১।

🌹রাসূল(সা.):‎🌹

‎✍“দোয়া ইবাদতের সারবস্তু এবং দোয়ার কারণে মানুষ ‎ধ্বংস থেকে রেহাই পাবে।”‎

📚বিহারুল আন্ওয়ার, খণ্ড ৯৩, পৃঃ নং ৩০০, হাদিস নং ‎৩৭।

🌹রাসূল(সা.):‎🌹

‎✍“সবচেয়ে অপারগ ব্যক্তি সে-ই, যে দোয়া করার ‎ব্যাপারে অপারগতা পোষন করে।”‎

📚আমালি আত্তুসি, খণ্ড ৮৯, পৃঃ নং ১৩৬।

📕রাসূল(সা.): “আল্লাহ্ তায়ালা যুবক ইবাদতকারীকে নিয়ে ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করেন এবং বলতে থাকেন, আমার এ বান্দার দিকে তাকিয়ে দেখ! আমার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সকল কামনা-লালসা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে।”

কানযুল উম্মাল, হাদিস নং ৪৩০৫৭।

📕রাসূল(সা.): “নিশ্চয় তোমাদের প্রভু লজ্জাবান ও মহান এবং তিনি লজ্জা বোধ করেন যে কোন বান্দা সাহায্যের জন্যে তাঁর দিকে হস্ত উত্তোলন করবে অথচ তখন তিনি তাকে শূণ্য হাতে ফিরিয়ে দেবেন।”

(কানযুল উম্মাল, হাদিস নং ৩১২৮)।🌿

রাসূল(সা.): “যে যুবক/যুবতি অল্প বয়সে বিয়ে করে, শয়তান চিৎকার করতে থাকে যে, হায়! আমার পোড়া কপাল, সে তার দুই তৃতীয়াংশ দ্বীনকে আমার হাত থেকে

রক্ষা করেছে।” সুতরাং বান্দা যেন তার অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ দ্বীন রক্ষায় তাকওয়া অবলম্বন করে।”

(বিহারুল আন্ওয়ার, ১০৩/২২১, হাদিস নং ৩৪)।

🔰রাসূল(সা.): “যে ব্যক্তি কোরআন শিখে এবং কোরআন শিখায় সে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মর্যাদাবান।” (বিহারুল আন্ওয়ার, ৯২/১৮৬, হাদিস নং ২)।📗

📕রাসূল(সা.): “নিশ্চয় তোমাদের প্রভু লজ্জাবান ও মহান এবং তিনি লজ্জা বোধ করেন যে কোন বান্দা সাহায্যের জন্যে তাঁর দিকে হস্ত উত্তোলন করবে অথচ তখন তিনি তাকে শূণ্য হাতে ফিরিয়ে দেবেন।”

(কানযুল উম্মাল, হাদিস নং ৩১২৮)।🌿

☑রাসূল(সা.): “পাপের মাধ্যমে মানুষ এমনভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয় যে পূর্বের চেয়ে বৃহৎ গুনাহের দিক ধাবিত হয়।”(তানবিহুল খাওয়াতির, ২/১০২)।

☑রাসূল(সা.):

“সর্বোচ্চ মুত্তাকী ব্যক্তি সে-ই,যে প্রকৃত সত্য কথা অনায়াসে বলে যায়। এতে সে তার লাভ -ক্ষতির দিকে ভ্রুক্ষেপ করে না।”

(আমালি আস্ সাদুক্ব, পৃ: ২৭, হাদিস নং ৪)।📚

🔰রাসূল(সা.):

✍[একজন আলেমের এক মুহূর্তের জন্যেও জ্ঞান বিতরণে থেমে থাকা সমীচীন নয়। আর জাহেল ও নির্বোধ ব্যক্তিদের জন্যেও তাদের মূর্খতার ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকা যথাযথ নয়। আল্লাহ্ বলেছেনঃ “যদি তোমরা না জানো তাহলে জ্ঞানীদের কাছ থেকে জেনে নাও।”]

📚কানযুল উম্মাল, হাদিস নং ২৯২৬৪।

🔰রাসূল(সা.):

✍[কিয়ামতের দিবসে এক লোককে আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান করা হবে এবং তার আমলনামা তার হাতে দেয়া হবে। কিন্তু সেখানে সে তার কোন নেক আমল দেখতে পাবে না। সে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করবেঃ

“হে প্রভু! এটা তো আমার আমলনামা নয়।”

তাকে বলা হবেঃ “তোমার প্রভু কোন ত্রুটিও করেন না এবং ভুলেও যান না। তোমার আমল অন্যের গিবত করার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।”

অত:পর অন্য এক লোককে আল্লাহর দরবারে আনা হবে এবং তাকে তার আমলনামা প্রদান করা হবে। ঐ ব্যক্তি তার আমলনামাতে অনেক নেক আমল অবলোকন করবে। সে আরজ করবে:

“হে প্রভু! এটা আমার আমলনামা নয়। কেননা, আমি এই নেক আমল সম্পাদন করিনি।” তাকে বলা হবেঃ “অমুক ব্যক্তি তোমার গিবত করেছিলো, আমি তার নেক আমল তোমাকে দান করেছি।”]

📚জামেয়’ আল্ আখবার, পৃ: ৪১২, হাদিস নং ১১৪৪।

🔰রাসূল(সা.):

✍[তাকওয়াবিহীন কাজের চাইতে তাকওয়ার সাথে কার্য নির্বাহের উপর বেশী জোর দাও। কেননা, খোদাভীতির সাথে কোন আমলই অল্প নয়। যে কাজ গৃহীত হয় সে কর্ম কিভাবে স্বল্প বলে পরিগণিত হবে!? আল্লাহ্ বলেন: “আল্লাহ্ শুধুমাত্র মোত্তাকীদের আমল কবুল করেন।”]

📚বিহারুল আন্ওয়ার, খণ্ড ৭০, পৃঃ ২৮৪, হাদিস নং ৮।