Press "Enter" to skip to content

যিলক্বদ মাসে প্রথম রবিবারের আমলসমূহ

এস, এ, এ

সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন যে, যিলক্বদ মাসটি হচ্ছে দোয়া কবুল হওয়ার মাস। আনাস বিন মালিক বলেছেন যে, যিলক্বদ মাসের প্রথম সপ্তাহের রবিবারে রাসুল (সা.) ঘর থেকে বাহিরে এসে তাঁর সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বলেন: তোমদের মধ্যে কে তওবা করতে চায়? সকলেই বলি যে, আমরা সবাই তওবা করতে চায়। তখন রাসুল (সা.) বলেন: এই দিনে গোসল করবে, তারপর ওযু করবে এবং ৪ রাকাত নামাজ পড়বে। প্রথম রাকাতে ১বার সুরা ফাতিহা, ৩বার সুরা ইখলাস, ১ বার সুরা ফালাক্ব এবং ১ বার সুরা নাস পাঠ করবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পড়বে এবং নামাজান্তে ৭০ বার আসতাগফিরুল্লাহ পাঠ করবে। তারপর বলবে:

“لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ اِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلَى‏ الْعَظيمِ”

তারপর বলবে:

يَا عَزِيْزُ يَا غَفّارُ، اِغْفِرْ لي‏ ذُ نُوبي‏، وَذُ نُوبَ جَميـعِ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِناتِ، فَاِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ.

তাহলে আল্লাহ তোমাদের তওবাকে কবুল এবং তার গুনাহকে ক্ষমা করবেন। এমনকি এই নামাজের বরকতসমূহ তোমাদের পরিবারের লোকজনও উপলব্ধি করতে পারবে, ঈমানের সহিত মৃত্যুবরণ করবে, কবর নূরান্বিত ও প্রসারিত হবে, বাবা মা তোমার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে, গুনাহসমূহকেও ক্ষমা করে দেয়া হবে এমনকি তোমাদের বংশধরদেরকেও ক্ষমা করে দেয়া হবে, রুজি বৃদ্ধি পাবে মৃত্যুকালীন সময়ে মালেকুল মউত রূহকে কষ্ট বিহিন কবজ করবে এবং মৃত্যু সহজতর হয়ে যাবে। কেয়ামতে এই নামাজি ব্যাক্তির কাছে যদি কারো দাবি থাকে তাহলে দাবিদার ব্যাক্তি তার প্রতি রাজি হয়ে যাবে।

রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞাসা করলাম হে রাসুল (সা.)! কেউ যদি এই নামাজটি অন্যান্য মাসে আদায় করে তাহলে কি? তিনি বলেন যে, তখনও তাকে এই সওয়াব দান করা হবে। আমি যখন মেরাজে গেছিলাম তখন জিব্রাইল (আ.) আমাকে বলেছিলেন। [1]

শেখ কাফআমী (রহ.) বলেছেন: রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, কোন ব্যাক্তি যদি হারাম মাসসমূহের যেকোন একটি মাসে বৃহঃস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবারে পরপর রোজা রাখে তাহলে তাকে ৯০০ বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে। শেখ আলী ইবনে ইব্রাহিমে কুম্মী (রহ.) বলেছেন: যেমনভাবে এই হারাম মাসসমূহে সৎকর্ম করলে কয়েকগুণ সওয়াব দান করা হয় অনুরূপভাবে গুনাহ করলেও এই ব্যাক্তির আমলনামায় কয়েক গুণ বেশী লিখা হয়। [2]

রাসুল (সা.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি যিলক্বদ মাসে তিনদিন (বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার) রোজা রাখে তাহলে আল্লাহ তাকে এক বছরের রোজা রাখার সওয়াব দান করবেন।

রাসুল (সা.) হতে আরো একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি এই মাসে তিনদিন (বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার) রোজা রাখে তাহলে আল্লাহ তাকে ৯০০ বছরের ইবাদতের সওয়াব দান করবেন (যার দিনগুলো রোজা অবস্থায় এবং রাতগুলো ইবাদতের অবস্থায় অতিবাহিত হয়েছে)। [3]

তথ্যসূত্র:

[1]. ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২ যিলহজ্ব মাস, পৃষ্ঠা ১২, ১৩।

[2]. মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায় যিলক্বদ মাস, পৃষ্ঠা ৩৯৭।

[3]. ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২ যিলহজ্ব মাস, পৃষ্ঠা ১৪।