Press "Enter" to skip to content

যিলহজ মাসে প্রথম দিনের আমলসমূহ

এস, এ, এ

যিলহজ্ব মাসের প্রথম দিনটি অত্যান্ত বরকতময় দিন। কেননা এই দিনে হযরত ইব্রাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন, আল্লাহ তাঁকে নিজের খলিফা হিসেবে নির্বাচন করেন, এই দিনে রাসুল (সা.) এর ওপরে সুরা বারাআত (তওবা)নাযিল হয় তিনি হজরত আবু বকরকে আয়াতগুলো প্রচার করার জন্য মক্কার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন কিন্তু পুণরায় ওহী নাযিল হওয়ার কারণে রাসুল (সা.) হযরত আলী (আ.) কে মক্কায় প্রেরণ করেন যেন তিনি হজরত আবু বকরের কাছ থেকে আয়াতগুলো নিয়ে তা মক্কায় প্রচার করেন। হযরত আলী (আ.) ৩য় যিলহজ্ব রাওহা নামক স্থানে হজরত আবু বকরের কাছ থেকে আয়াতগুলো নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হন।(ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২ যিলহজ্ব মাস, পৃষ্ঠা ৩২)

১. যিলহজ্ব মাসের প্রথম তারিখে রোজা রাখলে ৮০ মাস রোজা রাখার সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হয়।

২. হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) এর বিশেষ নামাজ পড়া মুস্তাহাব। শেখ কাফআমী (রহ.) বলেছেন: এই নামাজটি চার রাকাত যা দুই দুই রাকাত করে পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৫০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। নামাজান্তে তসবিহে ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) তারপর নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করতে হবে।:

سُبْحَانَ ذِي الْعِزِّ الشَّامِخِ الْمُنِيفِ سُبْحَانَ ذِي الْجَلالِ الْبَاذِخِ الْعَظِيمِ سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ الْفَاخِر الْقَدِيمِ سُبْحَانَ مَنْ يَرَى أَثَرَ النَّمْلَةِ فِي الصَّفَا سُبْحَانَ مَنْ يَرَى وَقْعَ الطَّيْرِ فِي الْهَوَاءِ سُبْحَانَ مَنْ هُوَ هَكَذَا وَ لا هَكَذَا غَيْرُهُ.

৩. যাওয়ালের (যোহরের নামাজের পূর্ব সময়) আধা ঘন্টা পূর্বে দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা ইখলাস,আয়াতুল কুরসী এবং সুরা ক্বদর ১০ বার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পড়তে হবে। (মাফাতিহুল জিনান, দ্বিতীয় অধ্যায় জিলহজ্ব মাস, পৃষ্ঠা ৪০৫)

৪. কেউ যদি  কোন অত্যাচারীকে ভয় পায় তাহলে সে যেন নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করে:

حَسْبِي حَسْبِي حَسْبِي مِنْ سُؤَالِي عِلْمُكَ بِحَالِي.

তাহলে আল্লাহ তাকে অত্যাচারীর অত্যাচার থেকে রক্ষা করবেন। রেওয়ায়েতের বর্ণনা অনুযায়ী এই তারিকে হযরত ইব্রাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন। শাইখাইনের বর্ণনা অনুযায়ী ১লা জিলহজ্বে হযরত আলী (আ.) ও হযরত ফাতিমা (সা.আ.)এর বিবাহ সংঘটিত হয়েছিল।