Press "Enter" to skip to content

হযরত আলী (আ.)-এর দৃষ্টিতে খেলাফত

একদিন মাওলা আলী কে হজরত সালমান ফারসি রাঃ জিজ্ঞেস করলেন “ইয়া মাওলা আলী এরা আপনাকে আপনার খেলাফত দিচ্ছেনা কেন?”

মাওলা আলী বললেন ওদের কি দুঃসাহস যে আমাকে খেলাফত দেবেনা? বরং আমি নিজেই চাই না এইসব জাহেলদেরকে কে বায়াত করাতে।এদের বায়াত করা আমার দরকার নেই।তারপর মওলা আলী সালমান কে বললেন, চলো তোমাকে আমার হুকুমত দেখাতে চাই।

এই বলে মাওলা আলী কিছু মেঘের খন্ড নিয়ে এসে তার উপরে সওয়ার হলেন হজরত সালমান রাঃ কে সঙ্গে করে।

অতঃপর ওনারা উপস্থিত হলেন একটা জায়গায় যেখানে শুধু সাদা সাদা পোষাক পড়া মানুষ ছিল ।তাদের শরিরে নূরের মত আলো ঝলকাচ্ছিল।আর সেখানেই একটা নূরের মত সিংহাসন সাজানো ছিল।মাওলা আলী সেই সিংহাসনে গিয়ে বসলেন আর ওখানের লোকেরা মওলা আলীর  সঙ্গে তাদের ভাষাতে কথা বলছিল।

হজরত সালমান সেই গুলো দেখছিল।তারপর একটার পর একটা দেশ নিয়ে যাচ্চিলেন হজরত সালমান কে আর সেখানের বাসিন্দারা ওনার সঙ্গে এমন ভাবে কথা বলছিল যেমন প্রভুর সঙ্গে দাসেরা কথা বলে।

অতঃপর মাওলা আলী হজরত সালমান কে বললেন “সালমান চোখ বন্ধ করো”

যখন সালমান রাঃ চোখ খুললেন নিমেষের মধ্যে নিজেকে কুফার মসজিদে আবিষ্কার করলেন। আর দেখলেন মাওলা আলী কুফার মসজিদের মিম্বারে বসে আছেন আর কিছু সাহাবাদের সঙ্গে কথা বলছেন।এই দেখে হজরত সালমান খুবই অবাক হয়ে গেল।

তারপর মাওলা আলী মিম্বার থেকে নেমে বললেন,  সালমান এবার তুমি বল, ১৮০০০ হাজার মাখলুকাত আমাকে মাওলা বলে ডাকে। আর আমি তাদেরকে ছেড়ে এই কুফাতে কিছু জাহেলদের জন্য অভিযোগ করবো যে, কেন তারা বায়াত হয়নি??

তখন হজরত সালমান রাঃ মাওলা আলী এর কদম মোবারকে চুমু খেয়ে জিজ্ঞেস করলেন,হে মাওলা আলী আসলেই আপনি কে?আমি ধন্য আপনার গোলামি করে”।

মাওলা আলীকে নবী পাক সাঃবলেছিলেন,হে আলী তুমি ততক্ষন কাউকে বায়াত করবেনা যতক্ষন তারা  তোমার কাছে আসে।কারন পিপাসিত কুয়োর কাছে যায়,কুয়ো পিপাসিতর কাছে যায়না”

সূত্র : কানজুল উম্মাল।