এস, এ, এ
রাসুল (সা.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: কোন ব্যাক্তি যদি ২৬শে শাবান তারিখের রাতে (২৫শে শাবান দিবাগত রাতে) ১০ রাকাত নামাজ পড়ে তাহলে আল্লাহ তাকে পার্থিব এবং পরকালের দুঃখ দূদর্শা থেকে মুক্ত রাখবেন এবং কেয়ামতের দিন তাকে ৬টি নূর দান করবেন। নামাজটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে নিন্মোক্ত আয়াতটি ১০ বার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটি অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট রাকাতগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে আদায় করতে হবে। আয়াতগুলো (সুরা বাকারা, আয়াত নং ২৮৫, ২৮৬) নিন্মরূপ:
ءَامَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إلَيهِ مِن رَّبِّهِ وَ الْمُؤْمِنُونَ كُلُّ ءَامَنَ بِاللَّهِ وَ مَلَئكَتِهِ وَ كُتُبِهِ وَ رُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَينَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ وَ قَالُواْ سَمِعْنَا وَ أَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَ إلَيْكَ الْمَصِيرُ لاَ يُكُلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا اِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَ عَلَى هْا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَ لاَ تَحْمِلْ عَلَىيَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَ لاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَ اعْفُ عَنَّا وَ اغْفِرْ لَنَا وَ ارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلَئنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكٰفِرِينَ.
উচ্চারণ: আমানার রাসুলু বিমা উনযিলা ইলাইহী মির রাব্বিহী ওয়ালিল মুমিনুনা কুল্ল আমানা বিল্লাহী ওয়া মালাকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহী লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মির রাসুলিহি ওয়া কালু সামিয়্যনা ওয়া আতাঅনা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসআহা লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলা হা মাকতাসাবাত রাব্বানা লা তুআখিযনা ইন্নাসীনা আউ আখতানা রাব্বানা ওয়া লা তাহমিল আলাইয়া ইসরান কামা হামালতাহু আলাল্লাযিনামিন কাবলিনা রাব্বানা ওয়া লা তুহামমিলনা মা লা তাকাতা লানা বিহি ওয়াফু আন্না ওয়াগফিললানা ওয়ারহামনা আনতা মাওলা-না ফানসুরনা ‘আলাল ক্বাউমিল কাফিরীন।
রাসুল (সা.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: কেউ যদি শাবান মাসে ২৬ দিন রোজা রাখে তাহলে আল্লাহ তাকে পুলসিরাত অতিক্রম করার দ্বায়িত্ব নিবেন। (ইক্ববালুল আমাল, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৪৮)