নুর হোসেন মাজিদী
আল্লাহ্ তা‘আলা রোযার সময়ের সীমারেখা সম্পর্কে এরশাদ করেন :
كُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ
“তোমাদের কাছে প্রত্যুষে কালো সুতা থেকে সাদা সুতা সুস্পষ্ট হয়ে না যাওয়া (ছুবহে ছাদেক্ব না হওয়া) পর্যন্ত খাও ও পান কর, অতঃপর রাত (হওয়া) পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর। ” (সূরাহ্ আল্-বাক্বারাহ্ : ১৮৭)
এ আয়াতে রাত (হওয়া) পর্যন্ত রোযা পূর্ণ করার জন্য দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অধিকাংশ মুসলমানই সূর্যাস্তের পর পরই ইফতার করে; রাতের সূচনা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে না। এর সপক্ষে প্রধানতঃ কয়েকটি খাবারে ওয়াহেদ্ হাদীছের দলীল দেয়া হয় এবং বলা হয় যে, সূর্যাস্তের সাথে সাথেই রাত শুরু হয়। এখন বিচার্য যে, এ মত কোরআন মজীদের উক্তির সাথে আদৌ সামঞ্জস্যশীল কিনা।
খাবারে ওয়াহেদ হাদীছের গ্রহণযোগ্যতা-অগ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে ইতিপূর্বে যেহেতু একাধিক পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি সেহেতু এখানে কেবল এতোটুকু আভাস দেয়াই যথেষ্ট বলে মনে করি যে, বহুলপ্রচলিত হাদীছ-গ্রন্থগুলো রাসূলুল্লাহর (ছাঃ) ইন্তেকালের দুই শতাব্দীরও বেশী কাল পরে সংকলিত হওয়ায় এ দীর্ঘ কালগত ব্যবধানে কোনো-না-কোনো বর্ণনাস্তরে এ ধরনের হাদীছ জাল হওয়া সম্ভব এবং স্বয়ং সংকলকগণও অসংখ্য হাদীছ জাল সন্দেহে বর্জন করেন। এরপরও তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার দুর্বলতার কারণে, বিশেষতঃ তাঁরা মুজতাহিদ না হওয়ায় ‘আক্বলী জ্ঞানে ও কোরআন মজীদের জ্ঞানে সুদক্ষ ছিলেন না বিধায় অনেক জাল হাদীছ তাঁদের সংকলনে স্থান পেয়েছে। এ সব হাদীছের মধ্যে এমনকি কোরআন মজীদের বিশুদ্ধতাকে প্রশ্নবিদ্ধকারী হাদীছও আছে, যেমন : ছাগলে কোরআনের আয়াত খেয়ে ফেলা, কোরআন থেকে সঙ্গে সারের হুকুম ও দুধমাতা নির্ধারণের শর্ত সংক্রান্ত আয়াত বাদ পড়া ইত্যাদি কল্পকাহিনী। সুতরাং যে কোনো খাবারে ওয়াহেদ হাদীছের গ্রহণযোগ্যতার সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে চার অকাট্য দলীলের (সর্বজনীন সুস্থ বিচারবুদ্ধি, কোরআন মজীদ, মুতাওয়াতির্ হাদীছ ও ইজমা‘এ উম্মাহর) কোনোটির সাথে সাংঘর্ষিক না হওয়া।
একটি হাদীছে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) ছাহাবী হযরত আনাসকে (ইফতারের জন্য) শরবত নিয়ে আসতে বললে হযরত আনাস্ বলেন যে, পশ্চিম দিকে দিন জ্বলজ্বল করছে, জবাবে রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) এরশাদ করেন যে, পূর্বাকাশে রাতের আঁধার ঘনিয়ে এসেছে। হযরত ‘উমার্ থেকে বর্ণিত একটি হাদীছে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করতে বলেছেন। আরেকটি হাদীছে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন, যেহেতু ইয়াহূদীরা দেরীতে ইফতার করে, সুতরাং তোমরা সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার কর।
কোরআন মজীদের সুস্পষ্ট বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক এ সব হাদীছ কোনোমতেই ছহীহ্ হতে পারে না, বরং নিঃসন্দেহে ছাহাবী পরবর্তী কোনো-না-কোনো বর্ণনাস্তরে, বিশেষতঃ বানী উমাইয়াহর শাসনামলে জাল করা হয়েছে। বিশেষ করে হযরত ‘উমার্ কর্তৃক কোনো হাদীছ বর্ণিত হওয়ার কথা নয়। কারণ, অকাট্য ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী হযরত আবূ বকর হাদীছ লিখন ও প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন এবং হযরত ‘উমারও সে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করেন। অধিকন্তু হযরত ‘উমার্ রাসূলুল্লাহর (ছাঃ) শেষ ফরমান লেখানোর বিরোধিতা করে বলেছিলেন : حسبنا کتاب الله – “আমাদের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। ” সুতরাং হযরত ‘উমার্ স্বয়ং সে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে হাদীছ বর্ণনা করতে পারেন না।
আর শেষোক্ত হাদীছটি সম্পর্কে বলতে হয় যে, ইসলামী বিধি-বিধানের ভিত্তি হচ্ছে রাসূলুল্লাহর (ছাঃ) প্রতি আল্লাহ্ তা‘আলার ওয়াহী (মাতলু ও গায়রে মাতলু নির্বিশেষে), ইয়াহূদী-বিরোধিতা নয়। ইয়াহূদী-বিরোধিতা ইসলামী বিধানের ভিত্তি হলে তাওরাতে বর্ণিত খাতনাহর বিধান মুসলমানদের জন্য অব্যাহত থাকতো না।
বস্তুতঃ কোরআন মজীদ হচ্ছে ফাছাহাত্ ও বালাগাতের মানদণ্ডে মু‘জিযাহ্। আর কোনো ফাছীহ্ ও বালীগ বক্তা সংশ্লিষ্ট ভাষার প্রকাশক্ষমতার আওতায় দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীয় উদ্দিষ্ট ব্যক্ত করেন। সুতরাং, আল্লাহ্ তা‘আলা যদি সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা পূর্ণ করার কথা বুঝাতে চাইতেন তাহলে أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى الغُروبِ – “তোমরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর” বলতেন, অথবা বলতেন : أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى المَغرِبِ – “তোমরা সূর্যাস্তের সময় পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর”। যেহেতু সূর্যাস্ত (غُروب) ও রাত (لَيل)-এর মাঝখানের সময়টা হচ্ছে شَفَق (গোধুলি) এবং কোরআন মজীদেও شَفَق–এর কথা উল্লেখ আছে (সূরাহ্ আল্-ইনশিক্বাক্ব : ১৬), সেহেতু উক্ত আয়াত অনুযায়ী গোধুলির সময় শেষ হবার পর ইফতার করতে হবে, তার আগে নয়।
কিন্তু খাবারে ওয়াহেদ হাদীছের অন্ধ ভক্তরা তা মানতে রাযী নয়। তাদের কথায় মনে হয় যে, আল্লাহ্ তা‘আলা মানুষ-বক্তার ন্যায় অসাবধানতাবশতঃ দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীয় উদ্দিষ্ট প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছেন এবং এমনভাবে বলেছেন যাতে তাদেরকে তার ব্যাখ্যা করতে হবে (না‘উযু বিল্লাহি মিন্ যালিক্)।
এরা আরো একটি হাদীছের সাহায্যে তাদের মতের সপক্ষে অপযুক্তি দেখায় যাতে বলা হয়েছে : “তোমরা চাঁদ না দেখে রোযা রাখবে না এবং চাঁদ না দেখে ইফতার করবে না, আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তার (রামাযান মাসের) সময় (ত্রিশ দিন) পূর্ণ করবে। ”
তাদের মতে, এ হাদীছে চাঁদ দেখে ইফতার করতে বলা হয়েছে, আর যেহেতু রামাযানের শেষ দিনে সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দেখা যায় সেহেতু সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করতে হবে। অথচ এ হাদীছের উদ্দেশ্য রোযা শুরুর সময় ও ইফতারের সময় বর্ণনা করা নয়, বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে রামাযান ও শাওয়াল মাস শুরু হওয়ার বিষয়টি নির্ণয় করা এবং এখানে ইফতার বলতে রোযার শেষে ইফতার বুঝানো হয় নি, বরং দিনের বেলা খানাপিনা করা তথা রোযা না রাখা বুঝানো হয়েছে অর্থাৎ বলা হয়েছে যে, ২৯শে রামাযান চাঁদ দেখা গেলে পরদিন রোযা রাখবে না, বরং খানাপিনা করবে। নচেৎ এতে রোযা শুরুর সময় ও ইফতারের সময় বুঝানো উদ্দেশ্য হলে ১লা রামাযানের চাঁদ দেখার সাথে সাথে রোযার নিয়্যত্ করতে হবে এবং খানাপিনা বন্ধ করতে হবে, তেমনি রামাযান মাসের দ্বিতীয়ার্ধে যে দিনগুলোতে সূর্যাস্তের আগে আকাশে চাঁদ দেখা যায় সে দিনগুলোতে সূর্যাস্তের আগেই ইফতার করা যরূরী হয়ে পড়ে। কিন্তু এ হাদীছের প্রতিপাদ্যের সাথে রোযা শুরুর সময় ও ইফতারের সময়ের কোনোই সম্পর্ক নেই।
এখানে আরেকটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। রোযার সময়ের হুকুম বর্ণনার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে সময়ে রোযা অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজগুলো বর্জন করতে হবে তার প্রান্তসীমা জানানো – যাতে তা কেউ লঙ্ঘন না করে; যখন সে কাজগুলো আর নিষিদ্ধ থাকবে না তা তার প্রান্তসীমা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আঞ্জাম দেয়া এবং অপর প্রান্তসীমা শেষ হওয়া পর্যন্ত আঞ্জাম দেয়া ফরয/ ওয়াজিব্ করা উদ্দেশ্য নয়। সুতরাং কেউ যদি ছুবহে ছাদেক্বের এক ঘণ্টা আগে সেহরী খাওয়া শেষ করে তাতে তার রোযার ক্ষতি হবে না, অনুরূপভাবে যদি ইফতারের প্রকৃত সময়ের পরে আরো দেরী করে ইফতার করে তাতেও তার রোযার ক্ষতি হবে না। কিন্তু কেউ যদি প্রকৃত ছুবহে ছাদেক্ব শুরু হওয়ার সামান্য পরেও খানাপিনা করে এবং ইফতারের প্রকৃত সময়ের সামান্য আগে ইফতার করে তাহলে তার রোযা বাত্বিল্ হয়ে যাবে। সুতরাং সতর্কতার নীতির দাবী হচ্ছে প্রকৃত ছুবহে ছাদেক্ব শুরু হওয়ার কিছু আগেই সেহরী খাওয়া শেষ করা এবং ইফতারের প্রকৃত সময়ের কিছু পরে ইফতার করা। আর সন্দেহজনক ও বিতর্কিত বিষয়ে সতর্কতার নীতি অনুসরণ করা অধিকতর অপরিহার্য; এর অন্যথা করা তাক্বওয়ার বরখেলাফ্। সুতরাং ইফতারের সময়ের ব্যাপারে দু’টি মতের পরিপ্রেক্ষিতে গোধুলির পরে ইফতারের সময় সঠিক হওয়ার ব্যাপারে ইয়াক্বীন্ হাছিল্ না হলেও সতর্কতার নীতির দাবী অনুযায়ী তা-ই অনুসরণ করা অপরিহার্য।
কিন্তু খাবারে ওয়াহেদ হাদীছের অন্ধ ভক্তরা কিছুতেই ইফতারের জন্য গোধুলি শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে প্রস্তুত নয়। তাই তারা যে কোনো মূল্যে দিনকে (২৪ ঘণ্টাকে) দিন ও রাত – এই দুই ভাগে বিভক্ত করার এবং কোরআন মজীদে উক্ত شَفَق (গোধুলি)কে রাতের মধ্যে ফেলার পক্ষপাতী।
এদের কোরআন নাযিল-কালীন আরবী ভাষার সাথে পরিচিতি আছে বলে মনে হয় না। কারণ, দৃশ্যতঃ এরা জানে না যে, অন্যান্য ভাষার ন্যায় আরবী ভাষায়ও এমন কতক শব্দ আছে যেগুলোর একেকটি শব্দের একাধিক ব্যবহারিক তাৎপর্য আছে। আরবী ভাষার يوم ও ليل শব্দও এ ধরনের শব্দ।
يوم শব্দ দ্বারা একদিকে যেমন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ঝানো হয়, আবার দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টাও বুঝানো হয়। তেমনি ليل শব্দ দ্বারা যেমন সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বুঝানো হয়, আবার দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টাও বুঝানো হয়। উদাহরণস্বরূপ : হযরত যাকারিয়া (‘আঃ) তিন দিন (২৪ ঘণ্টায় দিন) লোকদের সাথে সাঙ্কেতিক ভাষায় কথা বলবেন এটা জানাতে গিয়ে সূরাহ্ আালে ‘ইমরানের ৪১ নং আয়াতে ثَلاثَةَ أَيَّامٍ বলা হয়েছে এবং সূরাহ্ মারইয়াম্-এর ১০ নং আয়াতে ثَلاثَ لَيَالٍ বলা হয়েছে।
অন্যদিকে যখন شَفَق (গোধুলি) ও صبح (প্রত্যুষ)-কে বিবেচনায় রাখা হয় তখন ليل বলতে গোধুলির পর থেকে ছুবহে ছাদেক্বের পূর্ব পর্যন্ত বুঝানো হয়; রামাযানের আহ্কামের ক্ষেত্রে ليل বলতে এটাই বুঝানো হয়েছে।
সর্বাবস্থায়ই যদি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দ্বারা দিন ও রাত নির্ধারণ করা হয় অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত যদি রাত ধরা হয় তাহলে ছুবহে ছাদেক্বের পরে ও সূর্যাস্তের আগে যৌন সংসর্গ জায়েয গণ্য করতে হয়। কারণ, আলোচনার শুরুতে যে আয়াতের (সূরাহ্ আল্-বাক্বারাহ্ : ১৮৭) অংশবিশেষ উদ্ধৃত করা হয়েছে তার প্রথম অংশে এরশাদ হয়েছে : أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ – “তোমাদের জন্য রোযার রাতে তোমাদের নারীদের সাথে যৌনসংসর্গ হালাল করা হয়েছে। ” এখানে “রাতে ছুবহে ছাদেক্বের পূর্ব পর্যন্ত বলা হয় নি। ” তেমনি এর উল্লেখ ও সেহরীর সময়ের উল্লেখের মধ্যে ব্যবধান থাকায় সেহরীর সময়সীমাও যৌন সংসর্গের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছুবহে ছাদেক্বের পরে যৌন সংসর্গ জায়েয না হওয়ার ব্যাপারে দ্বিমত নেই। কারণ, এ আয়াতে ‘রাত’ বলতে যে ছুবহে ছাদেক্বের পূর্ব পর্যন্ত বুঝানো হয়েছে সে ব্যাপারে ইজমা‘এ উম্মাহ্ প্রতিষ্ঠিত আছে।
কিন্তু এরপরও খাবারে ওয়াহেদের অন্ধ ভক্তরা তাদের মত ও আমল পাল্টাবে এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। বস্তুতঃ আল্লাহ্ তা‘আলা এ ধরনের লোকদের সম্পর্কেই এরশাদ করেছেন :
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لا يَعْقِلُونَ شَيْئًا وَلا يَهْتَدُونَ
“আর তাদেরকে যখন বলা হয় (ও বলা হবে) : “আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন তার অনুসরণ কর”, তখন তারা বলে (ও বলবে) : “আমরা বরং তারই অনুসরণ করবো যার ওপরে আমরা আমাদের পূর্বসূরিদেরকে পেয়েছি। ” তাদের পূর্বসূরিরা যদি কোনো কিছু বিচারবুদ্ধি (‘আক্বল্) দ্বারা হৃদয়ঙ্গম না করে থাকে এবং সঠিক পথ না পেয়ে থাকে (তবুও কি তারা তাদের অনুসরণ করবে)?” (সূরাহ্ আল্-বাক্বারাহ্ : ১৭০)