এস, এ, এ
আল্লামা বাকের মজলিসি (রহ.) রমযান মাসের ফযিলত সম্পর্কে “যাদুল মাআদ” নামক গ্রন্থে প্রত্যেক দিনের নামায উল্লেখ করেছেন।
বি:দ্র: নিন্মে বর্ণিত প্রত্যেকটি নামায দুই রাকাত করে পড়তে হবে। নামাযসমূহ নিন্মরূপ:
১লা রমযান:
১ম রমযানের রাতে ৪ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১৫ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট দুই রাকাত উল্লেখিত পদ্ধতিতে আদায় করতে হবে।
২য় রমযান:
২য় রমযানের রাতে ৪ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ২০ বার সুরা কদর পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট দুই রাকাত উল্লেখিত পদ্ধতিতে আদায় করতে হবে।
৩য় রমযান:
৩য় রমযানের রাতে ১০ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৫০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
৪র্থ রমযান:
৪র্থ রমযানের রাতে ৮ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ২০ বার সুরা কদর পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
৫ই রমযান:
৫ই রমযানের রাতে ২ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৫০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
৬ই রমযান:
৬ই রমযানের রাতে ৪ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১ বার সুরা মুলক পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট দুই রাকাত নামায উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
৭ই রমযান:
৭ই রমযানের রাতে ৪ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে সুরা কদর ১৩ বার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট দুই রাকাত নামায উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
৮ই রমযান:
৮ই রমযানের রাতে ২ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। নামাযান্তে ১০০০ বার “সুবহান আল্লাহ” পাঠ করতে হবে।
৯ই রমযান:
৯ই রমযানের রাতে ৬ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: নামাযটি মাগরিব ও এশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে পড়তে হবে। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৭ বার আয়াতুল কুরসি পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পাঠ করতে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে। নামাযান্তে ৫০ বার বলতে হবে: “ اَللّهمّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَ آلِ مُحَمَّد”
১০ই রমযান:
১০ই রমযানের রাতে ২০ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৩০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
১১ই রমযান:
১১ই রমযানের রাতে ২ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ২০ বার সুরা কাউসার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
১২ই রমযান:
১২ই রমযানের রাতে ৮ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৩০ বার সুরা কদর পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
১৩ই রমযান:
১৩ই রমযানের রাতে ৪ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ২৫ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট দুই রাকাত নামায উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
১৪ই রমযান:
১৪ই রমযানের রাতে ৬ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৩০ বার সুরা যিলযাল পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
১৫ই রমযান:
১৫ই রমযানের রাতে ৪ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম দুই রাকাতের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। পরের দুই রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ৫০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
১৬ই রমযান:
১৬ই রমযানের রাতে ১২ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১২ বার সুরা তাকাসুর পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট রাকাতগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
১৭ই রমযান:
১৭ই রমযানের রাতে ২ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে যে কোন সুরা একবার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। নামাযান্তে ১০০ বার বলতে হবে। (لاَ إلهَ اِلاَ اللَّهُ)
১৮ই রমযান:
১৮ই রমযানের রাতে ৪ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ২৫ বার সুরা কাউসার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট দুই রাকাত নামায উল্লেখিত নিয়মে পড়তে হবে।
১৯শে রমযান:
১৯শে রমযানের রাতে ৫০ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১ বার সুরা যিলযাল পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
২০- ২৪শে রমযান:
২০শে রমযানের রাতে ৮ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে যে কোন সুরা একবার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে। ২০শে রমযান থেকে ২৪শে রমযান পর্যন্ত উল্লেখিত পদ্ধতিতে নামায পড়তে হবে।
২৫শে রমযান:
২৫শে রমযানের রাতে ৮ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
২৬শে রমযান:
২৬শে রমযানের রাতে ৮ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
২৭শে রমযান:
২৭শে রমযানের রাতে ৪ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১ বার সুরা মুলক পাঠ করতে হবে। অথবা সম্ভবপর না হলে সুরা মুলশের পরিবর্তে ২৫ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট দুই রাকাত নামায উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
২৮শে রমযান:
২৮শে রমযানের রাতে ৬ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস এবং সুরা কাউসার প্রত্যেকটি ১০০ বার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। নামাযান্তে ১০০ বার দুরুদ শরিফ পাঠ করতে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
এই নামাযটি পড়া সম্ভবপর না হলে শেখ আব্বাস কুম্মি (রহ.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী আরেকটি পন্থায়ও এই নামাযটি পড়া যেতে পারে। পন্থাটি নিন্মরূপ:
৬ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস এবং সুরা কাউসার প্রত্যেকটি ১০ বার পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে। নামাযান্তে ১০০ বার দুরুদ শরিফ পাঠ করতে।
২৯শে রমযান:
২৯শে রমযানের রাতে ২ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ২০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে।
৩০শে রমযান:
৩০শে রমযানের রাতে ১২ রাকাত নামায পড়তে হবে।
নামাযটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ২০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাযগুলো উল্লেখিত পদ্ধতিতে পড়তে হবে। নামাযান্তে ১০০ বার দুরুদ শরিফ পাঠ করতে হবে।