হযরত ফাতিমা (সা. আ.)’র ফযিলত ও মর্যাদা সম্পর্কিত ৪০ হাদীস
১. কেয়ামতে হযরত ফাতিমার মর্যাদাঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ কেয়ামতের দিন এক ঘোষণাকারীর ধ্বনি উচ্চারিত হবে,হে উপস্থিতগণ! নিজেদের চক্ষুসমূহ বন্ধ করে রাখ,( কেননা) হযরত ফাতিমা এখান থেকে অতিক্রম করতে চান।
(সূত্রঃ কানজুল উম্মাল, সাওয়ায়েকে মুহরেকা, নুরুল আবসার, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত)
২. বেহেশতের সুগন্ধিঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ যখন বেহেশতের সুগন্ধি ঘ্রাণ করার ইচ্ছা হত তখন ফাতিমাকে ঘ্রাণ করতাম।
(সূত্রঃ আস সাওয়ায়েকে মুহরেকা, উসদুল গ্বাবা,তাযকেরাতুল খাওয়াস,যাখায়েরুল উকবা)
৩. মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তমঃ
মহানবী (স.) এরশাদ করেছেনঃ পৃথিবীর মহিলাদের মধ্যে সর্বোত্তম চারজন,যথা,মরিয়াম,আসিয়া খাদিজা ও ফাতিমা।
(সূত্রঃ মুসতাদরাক আল সহীহাইন, বিদায়া ওয়ান নিহায়া)
৪. আল্লাহর আদেশে বিবাহঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ হে আলী হযরত জিব্রাইল আমাকে খবর দিয়েছেন যে আল্লাত তা’য়ালা ফাতিমাকে তোমার সাথে বিয়ে দিয়েছেন।
(সূত্রঃ মানাকিবে আল ইমাম আলী আ. মিন রিয়াযিল জান্নাহ)
৫. ফাতিমার সন্তুষ্টিতে নবী (সা.)-এর সন্তুষ্টিঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ আমি ততক্ষণ সন্তুষ্ট হয় নাই যতক্ষণ না ফাতিমা সন্তুষ্ট হয়েছে।
(সূত্রঃ মানাকিবে আল ইমাম আলী আ. মিন রিয়াযিল জান্নাহ)
৬. আলীর সাথে বিবাহের আদেশঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ হে আলী! আল্লাহ তা’য়ালা ফাতিমাকে তোমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য আমাকে আদেশ দিয়েছ।
(সূত্রঃ আল সাওয়ায়েকে মুহরেকা, তাজকেরাতুল খাওয়াস, নুরুল আবসার)
৭. আল্লাহ ফাতিমা ও আলীকে বিবাহ দিয়েছেনঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ স্বয়ং আলী ও ফাতিমাকে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ করেছ।
(সূত্রঃ আল সাওয়ায়েকে মুহরেকা)
৮. ফাতিমা নবী (সা.)-এর সর্বপ্রিয়ঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ আমার পরিবারে ফাতিমা আমার সর্বপ্রিয়।
(সূত্রঃ জামেউস সাগীর,আস সাওয়ায়েকে মুহরেকা, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, কানজুল উম্মাল)
৯. চার মহিলা শ্রেষ্ঠঃ তার একজন ফাতেমাঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ পৃথিবীর চারজন মহিলা সকল মহিলাদের নেত্রীঃ মরিয়াম, আসিয়া,খাদিজা ও ফাতিমা।
(সূত্রঃ জামেউস সাগীর, আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, যাখায়েরুল উকবা)
১০. জান্নাতে নারীদের সর্দারিনীঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা জান্নাতের নারীদের সর্দারিনী।
(সূত্রঃ কানজুল উম্মাল, বুখারী, আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া)
১১. আলী ও ফাতিমা সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ সর্বপ্রথম যে জান্নাতে প্রবেশ করবে সে হলঃ আলী ও ফাতিমা।
(সূত্রঃ নুরুল আবসার, কানজুল উম্মাল)
১২. আয়াতে তাতহীরের অংশঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ আয়াতে তাতহীর পাঁচ জনের মর্যাদায় অবতীর্ণ হয়েছেঃ আমার, আলী, হাসান হোসাইন এবং ফাতিমা।
(সূত্রঃ সহীহ মুলিম, ইসআফুর রাগেবীন)
১৩. সর্বোত্তম বেহেশতী নারীঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ সর্বোত্তম বেহেশতী নারী চারজনঃ মরিয়াম,আসিয়া, খাদিজা ও ফাতিমা।
(সূত্রঃ যাখায়েরে উকবাহ)
১৪. সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ সর্বপ্রথম যে জান্নাতে প্রবেশ করবে তিনি হলেন ফাতিমা।
(সূত্রঃ ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত)
১৫. হযরত মাহদী ফাতিমার সন্তানঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ মাহদী আমার বংশ এবং ফাতিমার সন্তানের মধ্য হতে হবে।
(সূত্রঃ সাওয়ায়েকে মুহরেকা)
১৬. ফাতিমার প্রতি ভালবাসাকারীদের উপর জাহান্নাম হারামঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তা’য়ালা জাহান্নামের আগুনকে আমার কন্যা, তাঁর সন্তানদের এবং যারা তাদের ভালবাসে তাদের থেকে দূরে রেখেছে,সেই জন্য তাঁর নাম ফাতিমা রাখা হয়েছে।
(সূত্রঃ কানযুল উম্মাল)
১৭. সর্বপ্রথম নবী (সা.) এর সাথে মিলিত হবেনঃ
মহানবী (স.) এরশাদ করেছেনঃ হে ফাতিমা! তুৃমি সর্ব প্রথম আমার পরিবার পরিজনের মধ্যে আমার সাথে মিলিত হবে।
(সূত্রঃ হুলইয়াতুল আওলিয়া, বুখারী, কানযুল উম্মাল)
১৮. ফাতিমার সন্তুষ্টিতে নবী (সা.) এর সন্তুষ্টিঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা আমার অংশ বিশেষ যে তাঁকে সন্তুষ্ট করবে সে আমাকে সন্তুষ্ট করবে।
(সূত্রঃ সাওয়ায়েকে মুহরেকা, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, মোস্তাদরাকুস সহীহাইন)
১৯. জান্নাতের নেত্রীঃ
মহানবী (সা.) এটশাদ করেছেনঃ ফাতিমা জান্নাতে মহিলাদের নেত্রী।
(সূত্রঃ বুখারী, তিরমিজী, কানযুল উম্মাল, জামেউস সাগীর, সাওয়ায়েকে মুহরেকা, খাসায়েসে ইমাম আলী, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া)
২০. ফাতিমার অসন্তুষ্টিতে নবী (সা.) এর অসন্তুষ্টিঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা আমার অংশ যে তাঁকে অসন্তুষ্ট করল, সে আমাকে অসন্তুষ্ট করল।
(সূত্রঃ বুখারী, খাসায়েয়ে আমিরুল মুমিনীন, নাসাঈ,জামেউস সাগীর, কানযুল উম্মাল মুন্তাখাব বেহামিশ আল মুসনাদ, মাসাবিহুস সুন্নাহ, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, ইসআফুর রাগেবীন)
২১. জান্নাতের হুরঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা জান্নাতের হুর তাকে মানব রুপে সৃষ্টি করা হয়েছে।
(সূত্রঃ মানাকিবে আল ইমাম আলী (আ.) লে- ইবনে মাগাযালী)
২২. ফাতিমা পবিত্রাঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা হুরের মানব, হায়েজ ও নেফাস থেকে পবিত্রা
(সূত্রঃ সাওয়ায়েকে মুহরেকা, ইসআফুর রাগেবীন,কানজুল উম্মাল)
২৩. সব থেকে প্রিয়ঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ হে আলী ফাতিমা তোমার থেকে আমার নিকটে প্রিয়, এবং তুৃমি আমার কাছে সব থেকে সম্মানিয়।
(সূত্রঃ মাযমাউজ জাওয়ায়েদ, জামেউস সাগীর, মোন্তাখাবে কানজুল উম্মাল, উসদুল গ্বাবা, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, সাওয়ায়েকে মুহরেকা)
২৪. ফাতিমা আমার অংশ, আমার হৃদয়ঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা আমার অংশ সে আনার হৃদয়, সে আমার আত্না যেটি অন্তরের মধ্যে রয়েছে।
(সূত্রঃ নুরুল আবসার)
২৫. নারীদের নেত্রীঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা আমার উম্মতের নারীদের নেত্রী।
(সূত্রঃ সহীহ মুলিম, মাজমাউয জাওয়ায়েদ, সেয়ারে আলামুন নোবালা)
২৬. যে ফাতিমাকে যন্ত্রনা দেয়,সে আমাকে যন্ত্রনা দেয়ঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা আমার অংশ যে তাঁকে যন্ত্রনা দেবে, সে আমাকে যন্ত্রণা দেবে।
(সূত্রঃ মানাকিবে খাওয়ারযমী)
২৭. যে ফাতিমাকে কষ্ট দেয়ঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা আমার অংশ যে তাঁকে কষ্ট দেয়, সে আমাক কষ্ট দেয়।
(সূত্রঃ সুনানে আল কুবরা, কানজুল উম্মাল, নুরুল আবসার, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত)
২৮. ফাতিমা আমার অন্তরের আনন্দঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা আমার অন্তরের আনন্দ ও উৎফুল্ল এবং তাঁর দুই সন্তান আমার হৃদয়ের ফল।
(সূত্রঃ ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত)
২৯.পার্থিব মহিলাদের মত নয়ঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা পার্থিব মহিলাদের মত নয়।
(সূত্রঃ মাজমাউয যাওয়ায়েদ)
৩০. ফাতিমার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ অসন্তুষ্টঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ হে ফাতিমা আল্লাহ তা’য়ালা তোমার অসন্তুষ্টিতে অসন্তুষ্ট হয়।
(সূত্রঃ সাওয়ায়েকে মুহরেকা, মুস্তারাকুল হাকিম)
৩১. আল্লাহ তা’য়ালা তোমায় কোন শাস্তি দিবেন নাঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ হে ফাতিমা আল্লাহ তা’য়ালা না তোমায় কোন শাস্তি দেবে আর না তোমার কোন সন্তানের।
(সূত্রঃ কানজুল উম্মাল, মুন্তাখাবে কানজুল উম্মাল, ইসআফুর রাগেবীন,নুরুল আবসার)
৩২. ফাতিমা পূর্ণাঙ্গ মহিলাঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ পুরুষদের মধ্য বহু সংখ্যক পূর্ণাঙ্গতায় পৌছেছে, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে কেবল চারজন। মরিয়াম, আসিয়া, খাদিজা ও ফাতিমা।
(সূত্রঃ নুরুল আবসার)
৩৩. ফাতিমা আল্লাহ মনোনীত ও সমাদৃতঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ মেরাজের রাত্রিতে জান্নাতের দরহায় একটা লেখা দেখলাম,তাতে লেখা ছিল আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসূল,আলী আল্লাহর বন্ধু, হাসান ও হোসাইন আল্লাহর নির্বাচিত, ফাতিমা আল্লাহ মনোনীত ও সমাদৃত। এদের শত্রুদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত দেয়।
(সূত্রঃ তারিখে বাগদাদ, তারিখে দামেস্ক, লেসানুল মিযান)
৩৪. ফাতিমা, দয়া,গুণে ও সম্মানে সর্বোত্তমঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ যদি অনুগ্রহকে কোন এক ব্যক্তির রূপে ধারন করা হতো, তাহলে তা ফাতিমার রূপে ধারন করা হতো বরং ফাতিমা হতেন তারো উর্ধ্বে। কেননা আমার কন্যা দয়া, গুণে ও সম্মানে জমিনবাসীদের মধ্যে সর্বোত্তম।
(সূত্রঃ মকতালুল হোসায়েন)
৩৫. ফাতিমা আমার অন্তর,আত্নাঃ
একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত ফাতেনা ( সা.আ.) এর হত ধরে বাহিরে বের হলেন, অতপর ববলেনঃ ” যে ব্যক্তি একে জানে সে তাকে চিনেছে, আর যে ব্যক্তি জানে না সে চিনে নিক এ হলো মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমা, সে আমার হৃদয়, আমার আত্না যেটি আমার ( বুকের) পাশ্বে আছে।
(সূত্রঃ আল ফুসুলিল মুহিম্মা, নুরুল আবসার)
৩৬. ফাতিমাকে কেন ফাতেমা বলা হয়?
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমাকে এ জন্য ফাতিমা বলা হয় যে ফাতিমা তাঁর প্রতি ভালবাসা পোষণকারীদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন।
(সূত্রঃ মাযমাউয যাওয়ায়েদ)
৩৭. আল্লাহ ফাতিমাকে ভালবাসেনঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ হযরত জিব্রাইল আমার কাছে এসে বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ ফাতিমাকে ভালবাসেন, অতএব তুমি সেজদা কর,আমি সেজদা করলাম,অতঃপর বললেন আল্লাহ হাসান ও হোসাইন কে ভালবাসে, অতঃপর আমি সেজদা করলাম, তারপর বললেন তাদেরও ভালবাসেন যারা এই দুইজনকে ভালবাসে।
(সূত্রঃ লেসানুল মিযান)
৩৮. ফাতিমা আমার চুল স্বরূপঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ ফাতিমা আমার মাথার চুল স্বরূপ, যে আমার চুলকে কষ্ট দিয়েছে সে আমাকে কষ্ট দিয়েছে, আর যে আমাকে কষ্ট দিয়েছে, সে আল্লাহকে কষ্ট দিয়েছ, আর যে আল্লাকে কষ্ট দিয়েছে তার উপর আসমান ও জমিন অভিশাপ বর্ষণ করে।
(সূত্রঃ হুলয়াতুল আওলিয়া)
৩৯. ফাতিমা সন্তুষ্ট হলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হনঃ
মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেনঃ হে সালমান! ফাতিমার প্রতি ভালবাসা একশত স্থানে লাভদায়ক হবে, তার মধ্যে সহজ স্থানগুলো হলোঃ মরণের সময়, কবরে,মিযানে, কেয়ামতের দিন, পুল সিরাতে, আমল হিসাব করার সময়……., অতএব যার প্রতি আমার কন্যা ফাতিমা সন্তুষ্টি পোষণ করবে আমিও তার প্রতি সন্তুষ্ট হবো, আর যার উপর আমি সন্তুষ্ট হবো,আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হবে। আর যার প্রতি ফাতিমা অসন্তুষ্ট পোষণ করবে, আমিও তার প্রতি অসন্তুষ্ট পোষণ করবো, আর আমি যার উপর অসন্তুষ্ট হবো,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবে। হে সালমান! ধ্বংস ও দুর্ভাগা সেই ব্যক্তি যে তাঁর ও তাঁর স্বামী মুমিনদের আমিরের উপর অত্যাচার করবে, ধ্বংস ও দুর্ভাগ্য তার জন্য যে তাঁর ( শিয়া) অনুসারী ও তাঁর পবিত্র বংশের উপর অত্যাচার করবে।
(সূত্রঃ ফারায়েদুস সিমতাইন, কাশফুল গ্বাম্ব)
৪০. ফাতিমার ঘর নবীদের ঘর থেকে উত্তমঃ
আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুরা নুরের ৩৬ তম আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন, সেই সময় এক ব্যক্তি উঠে প্রশ্ন করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ঘরগুলো বলতে ও তার গুরুত্ব বলতে কি বুঝায়?
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ নবীগণের গৃহগুলিকে বোঝানো হয়েছে।
তখন হযরত আবু বকর উঠে হযরত আলী ( আ.) ও ও হযরত ফাতিমা( সা. আ.) এর গৃহের দিকে ইশারা করে বললেনঃ আচ্ছা এই গৃহ কি সেই গৃহের মধ্যে আছে?
উত্তরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, তাদের থেকেও উত্তম।
(সূত্রঃ দুর্রে মানসুর, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, তাফসীরে সালাবী, আল কাশরাফ ওয়াত তিবইয়ান লিল মাসফাভী।)
লেখাটি: সংগৃহিত