এস, এ, এ
রাসুল (সা.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: কোন ব্যাক্তি যদি ২৩শে শাবানের রাতে (২২শে শাবানের দিবাগত রাতে) ৩০ রাকাত নামাজ পড়ে তাহলে আল্লাহ তার অন্তর থেকে বিদ্বেষ ও প্রতারণাকে বিদূরিত করে দিবেন, কেয়ামতে তার চেহারাকে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জলিত করে দিবেন।
নামাজটি পড়ার পদ্ধতি: প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১ বার সুরা যিলযাল পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপ পদ্ধতিতে পড়তে হবে। অবশিষ্ট নামাজগুলো অনুরূপ পদ্ধতিতে আদায় করতে হবে।
নিয়ত: আমি ২৩শে শাবানের নামাজ পড়ছি কুরবাতান ইলাল্লাহ।
সুরা যিলযাল বাংলা উচ্চারণঃ ইযা-যুলযিলাতিল আরদুযিলযা-লাহা-। ওয়া আখরাজাতিল আরদুআসকা-লাহা-। ওয়া কা-লাল ইনছানু মালাহা-। ইয়াওমাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা-। বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা-। ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসদুরুন্নাসু আশতা-তাল লিউউরাও আ‘মালাহুম। ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিসকা-লা যাররাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ। ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিসকা-লা যাররাতিন শাররাইঁ ইয়ারাহ।
রাসুল (সা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, কেউ যদি শাবান মাসে ২৩ দিন রোজা রাখে। তাহলে কেয়ামতের দিন যখন তাকে কবর থেকে উত্তোলন করা হবে তখন তার কবরের কাছে একটি নুরানী বাহন অপেক্ষামান থাকবে যা তাকে নিজের উপরে আরোহন করিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। (ইক্ববালুল আমাল,খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৪৬, ৯৪৭)