Press "Enter" to skip to content

ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী-১

অনুবাদ: ড. আবু উসামা মুহাররম

ইমাম খোমেনি (১৩২০-১৪০৯ হি/১২৮১-১৩৬৮ হি) পুরোনাম সৈয়দ রুহুল্লাহ মুস্তাফাভি বা সৈয়দ রুহুল্লাহ মুসাভি খোমেনি হিজরি১৪ শতকের  ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম নেতা এবং প্রথম আইনি অভিভাবক ছিলেন।

তিনি শিয়া মতবাদের একজন নেতা ছিলেন, যিনি ১৩৫৭ (হি.শা.) সালের ইরানি বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এর সমাপ্তির পরে, বিপ্লবের ব্যবস্থা নির্ধারণের জন্য নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পরেতিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান প্রতিষ্ঠা করেন। বয়ঃসন্ধিকাল থেকে তার সংগ্রাম শুরু হয় এবং এর ধারাবাহিকতা একদিকে তার আধ্যাত্মিক ও জ্ঞান-বিজ্ঞানেরউন্নতির সাথে সমান্তরালভাবে অগ্রসর হয়। অন্যদিকে ইরান ও ইসলামি সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি বিভিন্ন আকারে চলতে থাকে যতক্ষণ না পাহলভি সরকারের পতন এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠার সমাপ্তি ঘটে।

তিনি নীতিশাস্ত্র, আইনশাস্ত্র, রহস্যবাদ, দর্শন, হাদিস, কবিতা এবং তাফসিরের ক্ষেত্রে চল্লিশটিরও বেশি বই রচনা করেন, যার বেশিরভাগই তিনি লিখেছেন ইরানি বিপ্লবের আগে।

বংশতালিকা

ইমাম খোমেনির পিতা, সাইয়্যেদ মুস্তাফা মুসাভি, আল্লামা সাইয়্যেদ আহমদ মুসাভির পুত্র, ২৯ বাহমান ১২৪১ হি. শামসি মোতাবেক (২৯ রজব ১২৭৮ হি. কা.) খোমেইন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। (খোমেইন: ইরানের কেন্দ্রীয় প্রদেশ (আরাক) এর দক্ষিণ-পূর্বে একটি শহর)। যার ইতিহাস ১,৫০০ বছরেরও বেশি। এ শহর এবং এর আশেপাশের গ্রামগুলিকে কামরেহও বলা হত।তাই ইমাম খোমেনি কিছু জায়গায় নিজের নামের শেষে “খোমেনি কামরেই” উল্লেখ করেন। তিনি মির্জা আহমদ খানসারির অধীনে খোমেনে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আগ্রহ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রগাঢ় ছিল। ফলে সাইয়্যেদ মোস্তফার সাথে মির্জা আহমেদ তার মেয়েকে বিবাহ দেন। বিয়ের পর তিনি পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইসফাহানে যান এবং কিছু সময় পর তিনি নাজাফ আশরাফ ও সামাররায় হিজরত করেন।পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি মির্যা শিরাজীর মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভে ধন্য হন এবং তাঁর সমকালীন আলেম ও মুজতাহিদদের মধ্যে পরিগণিত হন। খোমেনের জনগণের আমন্ত্রণে তিনি তার শহরে ফিরে আসেন এবং খোমেইন ও এর উপকণ্ঠের জনগণের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১২৭৪ হিজরির মোতাবেক ১৩১২ হিজরিতে প্রত্যাবর্তনের তারিখ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।(১)

অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে সাইয়েদ মোস্তফার প্রতিরোধছিল প্রতিনিয়ত। তিনি শহুরে ও গ্রামীণ নিপীড়কদের সাথে সর্বদা প্রতিরোধ গড়ে তুলতেন। ফলেসবদিক থেকে তিনি শত্রুতার লক্ষবস্তুতে পরিণত হন।এমনকি তারা সেই আলেমকে শহীদ করা ছাড়া আর কোন পথ দেখতে পেল না।  এরই সুত্র ধরে ১২৮১ হিজরি শামছি মোতাবেক জিলহাজ্জাহ ১৩২০ হিজরিতে খোমেইন থেকে আরাক যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীকারীরা তাকে হত্যা করে। বেশ কয়েকটি বুলেটের আঘাতে ৪০ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন। নিহতের লাশ নাজাফ আশরাফে নিয়ে গিয়ে সেখানে দাফন করা হয়।

আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মুস্তফা মুসাভির পিতা আল্লামা সাইয়্যেদ আহমদ মুসাভি “ভারতীয়” হিসাবে পরিচিত ছিলেন এই কারণে যে বহু বছর আগে তাঁর মহান পূর্বপুরুষ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে নেশাবুর থেকে কাশ্মীরে হিজরত করেছিলেন এবং সেখানে শহীদ হন। এরপর ভারতবাসীর প্রথা ও কৃতজ্ঞতা অনুসারে তার ডাকনাম হয় (دینعلی شاه)”দিন আলি শাহ”। সৈয়দ আহমদের পিতা আবকাত আল-আনওয়ারের লেখকমীর হামেদ হোসেনের বংশধর।(২) খোমেইনের জনগণের অনুরোধে তিনি তাদের শরিয়া বিষয়ক দায়িত্ব গ্রহণের জন্য নাজাফ ত্যাগ করেন। খোমেইনে, তিনি সাকিনা নামে একজন মহিলাকে বিয়ে করেন এবং তিন কন্যার পর, আল্লাহ তাকে একটি পুত্র দান করেন, যার নাম তিনি মোস্তফা রাখেন। সাইয়্যেদ আহমদ ১২৮৫ বা ১২৮৬ চন্দ্র বছরের শেষে মৃত্যুবরণ করেন।(৩)

হাজরা খানুম হলেন ইমাম খোমেনির মা। যিনি জ্ঞান ও ধর্মপরায়ণ পরিবারের একজন সদস্য। আয়াতুল্লাহর ছেলে মির্জা আহমদ খোমেনি যিনি যিনি উচ্চপদস্থ আলেম ও শিক্ষকদের একজন ছিলেন।  [৪]

ইমামের পিতা দুধমাতাকে বলেছিলেন: “যতক্ষণ তুমি আমার ছেলে রুহুল্লাহকে দুধ খাওয়াবে, তোমার নিজের খাবার ছাড়া বা আমার বাড়ি থেকে তোমার জন্য যে খাবার পাঠানো হয় তা ছাড়া অন্য কোন খাবার স্পর্শ করবে না”।[৫]

পঞ্চম বছর বয়সে ইমাম খোমেনি এতিম হওয়ার যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে জীবন  শুরু করেন এবং তার পরে তার মা এবং তার খালা বানু সাহিহা খানম তার লালন-পালনের দায়িত্বে ছিলেন।

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের আড়াই বছর পর, যুদ্ধে মারা যাওয়া মৃতদেহ শহরকে বিষাক্ত ও কলেরায় আক্রান্ত করে। কলেরার প্রভাব কমাতে দই ছিল সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ। কিন্তু রাশিয়ান সৈন্যরা বাড়ি থেকে দই নিয়ে গিয়ে নিজেদের রক্ষা করেছিল। রুহুল্লাহর প্রিয় মা তার ছেলেকে দই ভর্তি একটি ছোট ব্যাগ নিয়ে অসুস্থ বাড়িতে পাঠাতেন, কিন্তু রুহুল্লাহর বাবার বাড়ি প্লেগ থেকে মুক্ত ছিল না। প্রথমে রুহুল্লাহর খালা সাহিবাহ খানুম (৬)এবং তার পরেই তার মা হাজরা খানম ১২৯৭ সালের ১৩৩৬ হিজরিতেএ নশ্বর জীবনকে বিদায় জানান।(৭]

আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ মোস্তফা মুসাভি এবং হাজার খানমের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল। সৈয়দ মোর্তেজা (পাসন্দিদেহ নামে পরিচিত), ইমাম খোমেনির ভাই, যিনি ২২শে নভেম্বর, ১৩৭৫ সালে কুমে ১০০ বছর বয়সে মারা যান, এবং তাঁর দেহকে মসজিদ বিল আসার পাশে মরহুম আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ তাকী বেহজাত কর্তৃক হারামের পাশে অবস্থিত হযরত মাসুমেহ (আঃ)এ পাশে দাফন করা হয়। ইমাম আগা সাইয়্যেদ নুরুদ্দিন (ভারতীয়) রুহুল্লাহর আরেক ভাই যিনি ১৩৫৫ সালের আগস্ট মাসে মারা যান। আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোস্তফার তিন কন্যা হলেন: ফাতেমেহ খানম, আখমাদেহ খানম এবং মাওলাদ আগা খানম। (৮)

বিবাহ এবং পরিবার

২৫ বছর বয়সে ইমাম খোমেনি সাইয়্যেদ মোহাম্মদ কামরেয়ের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, কিন্তু তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। পরে ২৭ বছর বয়সে আবার প্রস্তাব দেন। (৯) এরপর তাদের বিবাহ হয়। ইমাম খোমেনির তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ে ছিল। এর মধ্যে এক ছেলে ও দুই মেয়ে জন্মের পরপরই মারা যান। এই শিশুদের নাম নিম্নরূপ: মোস্তফা, আলি (চার বছর বয়সে মারা গেছেন), সিদ্দিকা (খানমে এশরাকী), ফরিদা (খানমে আরাবি), যাহরা (মিসেস বোরোজেরদী), সাঈদা (শৈশবে মারা গেছেন), আহমদ ও লতিফাহ (ছোটবেলায় পুকুরে পড়ে মারা যান)। (১০)

তার স্ত্রী ছিলেন তেহরানের অন্যতম ধর্মগুরু হাজি মির্জা মোহাম্মদ তাকফির কন্যা। এই সম্পর্কটি ইমামের বন্ধু এবং সহপাঠী সৈয়দ মোহাম্মদ সাদেগ লাভসানি দ্বারা সুসম্পন্ন হয়েছিল। তরুণ রুহুল্লাহ বেশ কয়েকবার মির্জা মোহাম্মদ তাকফি তেহরানির বাড়িতে বার্তা পাঠান এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। কিন্তু তার মেয়ে “কুদসে ইরান” বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন এবং তেহরানে অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি তেহরানে বসবাস করতে অভ্যস্ত ছিলেন।তিনি প্রতিবারই নেতিবাচক উত্তর দেন। (তার এই অনুরোধ গ্রহণ করতে অস্বীকার করার কারণ ছিল কুমের জীবন নিয়ে তার অনিচ্ছা এবং অসন্তোষ।) এরপর তিনি একটি বরকতময় স্বপ্ন দেখেন, যারফলে তিনি ভেবে নেন এ বিবাহ আসমানি ফয়সালা। তাই তিনি  রুহুল্লাহর সাথে কুমের জীবন গ্রহণ করেন। বিবাহের পর তিনি বলেন, আমি সর্বশেষ নবি (সা.), আমির আল-মুমিনিন (সা.) এবং ইমাম হাসানকে স্বপ্নে দেখেছিলাম। নবি (সা.) একটি ছোট উঠানে বসে ছিলেন, যেটি তারা একটি বিয়ের জন্য ভাড়া নিয়েছিল। আমি যা স্বপ্নে দেখেছিলাম সেই একই আকৃতি এবং চিত্রের ঘর ছিল। এমনকি তারা পরে যে পর্দাগুলি কিনেছিল তা আমার স্বপ্নে দেখা পর্দার মতোই ছিল। [১১] ইমাম চেয়েছিলেন পড়াশুনা বন্ধ না হোক, তাই তিনি রমজান মাসে ছুটির দিনে বিবাহের আয়োজন করেন এবং ১০০০ তোমান যৌতুক দিয়ে বিয়ে করেন। (১২)

স্ত্রীর স্বীকারোক্তি অনুসারে তাদের মধ্যে ধমক বা তিরস্কার সম্বলিত একটি বাক্যও বিনিময় হয়নি। তিনি নিজেই বলেছেন: আমি যদি বাচ্চার স্কার্ফটি ধুয়ে দিতে চাই তবে তিনি এসে বলতেন, তোমাকে ধুতে হবে না। পরে যখন তিনি সেখানে থাকতেন না, আমি বাচ্চার কাপড় ধুয়ে ফেলতাম।(১৩)

খোমিনে শিক্ষা

ইমাম খোমেনি শৈশবে পড়াশুনা শুরু করেন মির্জা মাহমুদ নামে একজন শিক্ষকের কাছে তাঁর বাড়িতে পড়া-লেখা শুরু করেন এবং তারপর তিনি স্কুলে যান।(১৪) তিনি শেখ জাফর এবং মির্জা মোহাম্মদ নামে অন্যান্য অধ্যাপকদের অধীনে পড়াশোনা চালিয়ে যান। মোল্লা আবুল কাসেম বিদ্যালয়ে তিনি এলমে কিরাত ও তাজবিদ শিক্ষাগ্রহণ করেন। এখানে শেখ জাফর ও মির্জা মুহাম্মদ তার শিক্ষক ছিলেন।

স্কুলের মেয়াদ শেষ করার পর, তিনি আহমদিয়া স্কুলে যান। যাতে এই নতুন প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রগুলির পাঠের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। হাসান মোস্তফি, রুহুল্লাহর খালাত ভাইযিনি ছোটবেলায় সহপাঠী এবং খেলার সাথী ছিলেন।তিনিবলেছেন: “আমরা একসাথে একটি স্কুলে যেতাম যেখানে ফরাসি স্কুলের স্টাইলে ডেস্ক এবং চেয়ার ছিল”।( ১৫)  এ প্রতিষ্ঠানে আগা হামযা মুহাল্লাতি নামে একজন শিক্ষক হস্তলিপি শিখাতেন।পনের বছর বয়সেতিনি তার ফারসি অধ্যয়ন শেষ করেন।

তিনি তার এক চাচা হাজি মির্জা মোহাম্মদ মাহদী এবং তার ভাই সৈয়দ মোর্তেজা পাসন্দিদেহ এবং আগা নাজাফি খোমেনির কাছে এলমে নাহু, সরফ, মানতিকের মতো ইসলামি বিজ্ঞান অধ্যয়ন শুরু করেন এবং ১২৯৯(হি. শা.) মোতাবেক ১৩৩৮ (হি.কা.)পর্যন্ত তাদের উপস্থিতিতে মৌলিক বিষয়গুলি অধ্যয়ন চালিয়ে যান। ১৬] এই বয়সে, তিনি দেশ ও জাতির খবর অনুসরণ করতেন এবং শহর রক্ষাকারী যুবকদের সাথে সমস্ত কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন। প্রতি শুক্রবার, তিনি তিরন্দাযি শিখতে যেতেন, যাতে আত্মরক্ষামূলক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন।

 ১২ গ্রন্থসূচি:

১.  কাদেরি, সৈয়দ আলি,খোমেনি রুহুল্লাহ (যিন্দেগিনামে ইমাম খোমেনি বার আসাসে ইসনাদ ও খাতেরাত ও খয়্যাল।

২.  মুরাদিনিয়া, মোহাম্মদ জাওভাদ, খাতিরাতে আয়াতুল্লাহ পাসান্দিদেহে, পৃ.৮।

৩.  মুরাদিনিয়া, মোহাম্মদ জাওভাদ, খাতিরাতে আয়াতুল্লাহ পাসান্দিদেহে, পৃ.৯।

৪. রুহানি, সাইয়্যেদ হামিদ, নাহযাতে ইমাম খোমেনি, খণ্ড ১, পৃ. ৩৬।

৫.  নেদা ম্যাগাজিন, বাহার, ১৩৬৯, মুসাহেবে বা খহারে রেযায়ি ইমাম, পৃ. ১৪০।

৬. রুহানি, সাইয়্যেদ হামিদ, নাহযাতে ইমাম খোমেনি, খণ্ড ১, পৃ. ৩৮।

৭.  কাদেরি, সৈয়দ আলি, খোমেনি রুহুল্লাহ, খণ্ড ১, পৃ. ২৩৪।

৮.  রুহানি, সাইয়্যেদ হামিদ, নাহযাতেইমাম খোমেনি,, খণ্ড ১, পৃ.৩৭।

৯.  রজবী, মোহাম্মদ হাসান, ইমাম খোমেনির রাজনৈতিক জীবনী, পৃ.২০৮।

১০.  রুহানি, সাইয়্যেদ হামিদ, নাহযাতে ইমাম খোমেনি, খণ্ড ১, পৃ. ৪৪।

১১. লাজুরদি, হাবিব, খাতেরাতে জায়িরি ইয়াযদি, মারকাযে ইনকিলাবে ইসলামি,তৃতীয় সংস্করণ, পৃ.৫৪।

১২. রুহানি, সাইয়্যেদ হামিদ, নাহযাতে ইমাম খোমেনি, খণ্ড ১, পৃ. ৫৫।

১৩.  কাদেরি,সৈয়দ আলি,খোমেনি রুহুল্লাহ, খন্ড ১, পৃ. ৪৩০।

১৪. রুহানি, সাইয়্যেদ হামিদ, নাহযাতেইমাম খোমেনি,খণ্ড ১, পৃ. ৩৯।

১৫. কাদেরি, সৈয়দ আলি, খোমেনি রুহুল্লাহ, খন্ড ১, পৃ. ১৮৫।

১৬. রুহানি, সাইয়্যেদ হামিদ, নাহযাতে ইমাম খোমেনি, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯।